নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

  ২৩ জুলাই, ২০১৯

নারায়ণগঞ্জে শিশু আলিফ হত্যায় একজনের মৃত্যুদন্ড

নারায়ণগঞ্জ নগরীর জল্লারপাড় এলাকার চার বছরের শিশু আলিফ হত্যার দায়ে আসামি অহিদুল ইসলাম ওরফে অহিদুল্লাহর মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের আদালত আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। অহিদুল ইসলাম ওরফে অহিদুল্লাহ নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার চরজব্বার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চরহাসান গ্রামের মাকসুদের ছেলে। সে শহরের জল্লারপাড় এলাকার আমহাট্টা এলাকার খোকন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট শহরের জল্লাড়পাড় আমহাট্টা এলাকায় সৌদি প্রবাসী আলমগীর হোসেনের ছেলে আলিফ নিখোঁজ হয়। ওই দিন বিকালে অহিদ ও রিপন নামের দুজনের ভাড়া ঘর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশু আলিফের লাশটি উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, আলিফকে হত্যার পর হাত-পা বেঁধে লাশ ভরে রাখা হয় বস্তার ভেতরে। শুধু বস্তাবন্দি নয়, প্রথমে পলিথিন ব্যাগে ভরে লাশটিকে একটি বস্তায় ঢুকানো হয়। সেই বস্তার ওপরে দেওয়া ছিল কংক্রিটের টুকরো। হত্যার পর আসামি অহিদুল আলিফের বাবার কাছে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা সৌদি প্রবাসী আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে পরদিন ১৭ আগস্ট সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, গ্রেফতারের পর আসামি অহিদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এই মামলায় একমাত্র আসামি অহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। সাক্ষীরা সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এর ভিত্তিতে আদালত তাকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। চাঞ্চল্যকর, লোমহর্ষক ও স্পর্শকতর মামলা হিসেবে এটিকে চিহ্নিত করে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। এই বছরের ২৯ এপ্রিল চার্জ গঠনের পর মাত্র দুই মাসের মধ্যে এই রায় দেওয়া হলো।

শিশু আলিফের মা সালমা বেগম এই রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট । আমি চাই, দ্রুত এই রায় কার্যকর করা হোক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close