কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১৯ জুলাই, ২০১৯

চলন্ত বাসে নার্স ধর্ষণ-হত্যা

স্বর্ণলতা বাসের মালিক গ্রেফতার

স্বর্ণলতা পরিবহনের বাসে নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বাসটির মালিক আল মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বুধবার পাকুন্দিয়া উপজেলার মঠখোলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সারোয়ার জাহান গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, বাসচালক নুরুজ্জামান নুরু, বাসের হেলপার লালন মিয়া ও কটিয়াদীর কাউন্টার মাস্টার রফিকুল ইসলাম রফিক আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছিল, বাস মালিক আল মামুন ধর্ষণ ও হত্যায় ব্যবহৃত বাসটির ব্যাপারে তাদের ভুল তথ্য দিতে প্ররোচিত করেছিলেন।

গ্রেফতার হওয়া আল মামুন গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ঘোড়াদিয়া গ্রামের আসাদুজ্জামান মনিরের ছেলে। গ্রেফতারের পর আল মামুনকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নিহত তানিয়া কটিয়াদীর লোহাজুরী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। তিনি ঢাকার ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কল্যাণপুর শাখায় সিনিয়র স্টাফ নার্স ছিলেন। কর্মস্থল ঢাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য ৬ মে ঢাকার বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের বাসে উঠেছিলেন তানিয়া। চলন্ত বাসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন তিনি। ধর্ষণ শেষে তাকে বাস থেকে ফেলে হত্যা করা হয়। পরে স্বর্ণলতা পরিবহনের কটিয়াদীর কাউন্টার মাস্টার রফিক ও সুপারভাইজার আল আমিন তানিয়াকে কটিয়াদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পর দিন ৭ মে রাতে তানিয়ার বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক নুরুজ্জামান নুরু, হেলপার লালন মিয়া, আল আমিন ও আবদুল্লাহ আল মামুনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামির মধ্যে বাসচালক নুরু, লালন, রফিকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. সারোয়ার জাহান জানান, বোরহান ও আল আমিনকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close