প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৬ জুলাই, ২০১৯

শিশু ধর্ষণ

মাদরাসাশিক্ষককে গণধোলাই, পুলিশে সোপর্দ

ধর্ষণের অভিযোগে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় মাদরাসাশিক্ষককে পুলিশে দিয়েছে জনতা। অপরদিকে বগুড়ার শাহজাহানপুরে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সেখানকার এক হাইস্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টÑ

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে আবুল খায়ের বেলাল (৩৫) নামের এক মাদরাসার প্রধান শিক্ষককে ধরে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। গত শুক্রবার উপজেলার পৌর এলাকার বাদে আঠারোবাড়ি মা হাওয়া (আ.) কওমি মহিলা মাদরাসায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।

সূত্র জানায়, মা হাওয়া (আ.) কওমি মহিলা মাদরাসায় এক শিশু ছাত্রীকে প্রধান শিক্ষক আবুল খায়ের বেলাল (আরবি শব্দ মুহতামিম) তার নিজ কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি চিৎকার শুরু করলে অন্যান্য শিক্ষার্থী এবং আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে ধরে মারধর শুরু করে। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

শাজাহানপুর (বগুড়া) : বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার কামারপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুজ্জমান বাদলের বিরুদ্ধে। গত বুধবার বিদ্যালয়ের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে এমন ঘটনা ঘটে বলে ওই ছাত্রীর অভিযোগ। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক ক্ষমা চেয়েছেন, এই অজুহাতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ইউএনও। একই সঙ্গে তাকে নিষ্কৃতি দিতে গত বৃহস্পতিবার আপস-মীমাংসা করে দিয়েছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামায়াত নেতা মো. আলাউদ্দিন।

তিনি শাজাহানপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কর্ম-পরিষদ (উপজেলা কমিটির) সদস্য।

ভুক্তভোগী ছাত্রী জানায়, পরীক্ষা চলাকালে সহকারী শিক্ষক খায়রুজ্জমান বাদল তার পরীক্ষার ক্লিববোর্ড কেড়ে নেন। তিনি ওই বোর্ডের ওপর থুথু দেন। কিছুক্ষণ পর শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় স্পর্শ করেন ওই শিক্ষক। ভুক্তভোগি ছাত্রীর বাবা জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আপস-মীমাংসা করে দিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক খায়রুজ্জমান জানান, ‘আমি শুধু থুথু দেওয়ার অভিনয় করেছি আর মাথায় হাত দিয়ে ভালোভাবে লেখার কথা বলেছি। এছাড়াও ওই ছাত্রীর সঙ্গে আমি একটু মশকরা করেছি মাত্র।’

প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন জানান, একটা ভুল বোঝাবুঝির মীমাংসা হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. ফুয়ার খাতুন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক ক্ষমা চেয়েছেন। সে কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close