কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

  ২৮ জুন, ২০১৯

বিচারের বদলে হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ধর্ষিতা

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর বিচার পাওয়ার পরিবর্তে ধর্ষকদের হুমকিতে প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এক কিশোরী ও তার পরিবার। অপরদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওঠে পড়ে লেগেছে একটি মহল। প্রভাবশালীদের ভয়ে দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সাহস পাচ্ছে না কেউ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের পাগলারহাট নামক স্থানে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী মোবাইল ফোনে জানায়, তার চাচাকে মারধর করে তাকে মোটরসাইকেলে তুলে পাশের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে প্রথমে আবুসামা মেম্বার পরে গামাসহ চার থেকে পাঁচজন তাকে ধর্ষণ করে। রাতভর পাশবিক নির্যাতনে জ্ঞান হারায় সে। জ্ঞান ফিরলে বাড়ির কাছে রাস্তার ওপর পড়ে থাকা অবস্থায় নিজেকে আবিষ্কার করে, ততক্ষণে ভোর হয়ে গেছে। জানা যায়, ওই কিশোরী শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামের এক ভিক্ষুকের মেয়ে (১৩)। ঢাকায় বিভিন্ন বাসায় ঝিএর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। কিছুদিন আগে মেয়েটি নওগাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে তার চাচা শরপত আলীর সঙ্গে ১৭ জুন নিজ বাড়িতে রওনা হয়। ওই দিন ভূরুঙ্গামারীতে পৌঁছাতে রাত হয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে ভূরুঙ্গামারী থেকে বাড়ির উদ্দেশে শাহা আলমের অটোরিকশায় চড়ে বসে। রাত ১১টার দিকে পাগলারহাট বাজারে পৌঁছলে চালক শাহা আলম অটো থামিয়ে দেয়। সে মোবাইল ফোনে তিলাই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য আবু সামাকে (৪৬) ডেকে আনে। আবু সামা সহযোগী দক্ষিণ ছাটগোপালপুর গ্রামের নওসাদ কসাইয়ের ছেলে সরবেশ আলী (৩৪), আশরাফুল আলম গামা (৩৫) ও উত্তর ছাটগোপালপুর গ্রামের মৃত আবদুল গফুর মিয়ার ছেলে জুবায়ের হোসেন (৩২) মিলে তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে তোলে। চাচা বাধা দিলে তাকে পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় জুবায়ের হোসেন। ওই কিশোরীকে নিয়ে রমজান আলীর বাড়ির কাছের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান ফেরার পর বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close