নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ জুন, ২০১৯

ডিএসসিসির ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন আগামী ২২ জুন

সারা দেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন আগামী ২২ জুন শনিবার উদযাপন করা হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সি সব শিশুকে নিকটস্থ টিকাদান কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে এক সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন সভায় এসব তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ।

ওরিয়েন্টেশন সভায় তিনি জানান, ডিএসসিসি এলাকায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি ৫৫ হাজার ৯৫৫ জন শিশুকে ১টি ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৪ জন শিশুকে ২টি নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শরীফ আহমেদ আরো জানান, আগামী ২২ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১ হাজার ৪৮৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ২ হাজার ৯৭৪ স্বেচ্ছাসেবক ও ১১২ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। বাংলাদেশ সরকারের সরবরাহকৃত এই ভিটামিন এ ক্যাপসুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত এবং শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাই সব অভিভাবককে নির্ভয়ে শিশুদের এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় জাতীয় পুষ্টি সেবা বিভাগের পরিচালক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভিটামিন এ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।

মা ও শিশুর পুষ্টির জন্য গর্ভবর্তী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি করে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার এবং উদ্ভিজ্জ খাবার খেতে দিতে হবে। ৬-১১ মাস বয়সের প্রতিটি শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ান। আর ১২-৫৯ মাস বয়সের প্রতিটি শিশুকে বছরে দুইবার ১টি করে এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। ওরিয়েন্টেশন সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মোস্তাফিজুর রহমানসহ কর্মসূচি বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ডিএসসিসি এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close