বাগেরহাট প্রতিনিধি
জেলের জালে ১ মণ ওজনের খটক মাছ
খুলনার রূপসা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে এক মণ ওজনের (৪০ কেজি) একটি খটক মাছ। পরে এটিকে খুলনার ব্যবসায়ীরা কিনে এনে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ আড়তে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী শাহ আলম মাতব্বরের কাছে বিক্রি করেন।
গতকাল শুক্রবার সকালে মোরেলগঞ্জ বাজারের আড়ত থেকে মাছটিকে কেনেন শাহ আলম মাতব্বর। পরে প্রতি কেজি ২ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি করেছেন তিনি। মোরেলগঞ্জের মৎস্য ব্যবসায়ী শাহ আলম মাতব্বর গণমাধ্যমকে বলেন, খুলনার মৎস্য ব্যবসায়ীরা আড়তে মাছটি নিয়ে আসেন। তাদের কাছ থেকে ২৮ হাজার টাকায় মাছটি কিনি। পরে কেটে ২ হাজার টাকা কেজি মূল্যে বিক্রি করেছি। মাছটির সাধারণত পাওয়া যায় না। ওষুধি গুণ থাকায় এলাকার মানুষ বেশি দামে মাছটি কিনেছে। মুখের সামনে খাঁজকাটা লম্বা করাতের মতো একটা কাঁটা আছে। হয়তো এ কারণে মাছটির নাম করাতি হাঙর। স্থানীয় জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের ভাষায় খটক মাছ। সচরাচর এ মাছ দেখা না গেলেও মাঝে-মধ্যে বিশালাকৃতির খটক মাছ ধরা পড়ে। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, খটক মাছ খেলে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসার, হৃদরোগ ও যক্ষ্মা ভালো হয়। এ বিশ্বাস থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ বেশি দামে মাছটি কিনে খায়। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অমল কান্তি রায় বলেন, করাতি হাঙর বা খটক মাছ যে নামেই বলেন, এটি সমুদ্রের মাছ। মাছটি অনেক বড় হয়। সমুদ্রে মাছ ধরা জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে। তবে সেটি লোকালয়ে বিক্রি হয় না। স্থানীয় জেলেদের জালে ধরা পড়লে পরে বাজারে বিক্রি করা হয়। তবে দুরারোগ্য ব্যাধি ভালো হয় বলে আমার জানা নেই। আর এমন কোনো গবেষণার ফলাফলও নেই আমাদের কাছে।
"