আদালত প্রতিবেদক
আদালত স্থানান্তর
খালেদার রিটের শুনানি ১০ জুন পর্যন্ত মুলতবি
বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার বিচারে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত স্থানান্তর করে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপনের বৈধতার রিটের শুনানি ১০ জুন পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও এ জে মোহাম্মদ আলী। তাদের সহায়তা করেন ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। এ সময় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
শুনানিতে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, কেরানীগঞ্জ ঢাকা মহানগরের মধ্যে নয়। এছাড়া আইন অনুসারে পাবলিক ট্রায়ালের বিষয় আছে। এ সময় আদালত বলেন, মামলার চার্জশিট দেওয়া উচিত ছিল। দিলে তাহলে আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে। এছাড়া ওই আদালতের বিচারকের অধিক্ষেত্রের গেজেটটা দেবেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফারুক রহমানের মামলার বিচার জেলখানায় হয়েছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মামলা চলেছিল। ওনারাই সেটা করেছেন। বিডিআর মামলার অনেক আসামি। সেটার বিচার আলিয়া মাদ্রাসার পাশে কারা অধিদফতরের মাঠে হয়েছিল। এ মামলাটাও ওখানে হতো। কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যা হয়েছিল। গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। একটা মামলাও হয়েছে। পরে মামলাটি পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক কক্ষে স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে জেলখানা ট্রান্সপার হয়েছে। এখন ওই কোর্টটা জেলখানার ভেতরে নয় সম্মুখে। আমাদের কাছে ল্যাপটপে রেকর্ড আছে। চাইলে দেখতে পারেন। এ সময় আদালত রেকর্ডের সিডি জমা দিতে বলেন।
পরে এ জে মোহাম্মদ আলীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানি ১০ জুন পর্যন্ত মুলতবি করেন।
"