আদালত প্রতিবেদক

  ২৯ মে, ২০১৯

তরুণ-তরুণী হত্যা

সম্রাট হোটেলের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রায় দুই মাস আগে রাজধানীর ফার্মগেটের সম্রাট হোটেল থেকে দুই তরুণ-তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ওই হোটেলের মালিক জসিম উদ্দিন চৌধুরী কচিসহ তিনজনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

নিহত তরুণীর বাবার দুই সপ্তাহ আগে করা মামলা গত রোববার গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম তেজগাঁও থানার ওসিকে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন বলে বাদীর আইনজীবী আলী আহাদ খান জিকু জানিয়েছেন।

মামলায় সম্রাট হোটেলের মালিক জসীম উদ্দিন চৌধুরী কচি, হোটেলের ব্যবস্থাপক রাসেল আহমেদ সুমন ওরফে লিটন ও হোটেলের তত্ত্বাবধায়ক আহাম্মদ হোসেনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।

গত ২ এপ্রিল বিকেলে গ্রিন রোডের সম্রাট হোটেলের আটতলার একটি কক্ষ থেকে আমিনুল ইসলাম ও মরিয়ম চৌধুরী নামে ঢাকার দুটি প্রতিষ্ঠানের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা আগের দিন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সেখানে উঠেছিলেন। আমিনুল তেজগাঁও কলেজে এবং মরিয়ম ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়তেন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র আমিনুল কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের মোশাররফ হোসেনের ছেলে। তিনি একটি মেসে থাকতেন। আর মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানের মোস্তাক আহম্মেদ চোধুরীর মেয়ে মরিয়ম ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী; থাকতেন ধানমন্ডির একটি মহিলা হোস্টেলে ।

মোস্তাক গতকাল মঙ্গলবার বলেন, আমাকে পুলিশ কোনো সহযোগিতা করছে না। বাধ্য হয়ে আমি আদালতে এসেছি। মামলার এত দিন পর গত রোববার আদেশ হলো। এখন দেখা যাক, পুলিশের কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মামলার আরজিতে তিনি বলেন, তার মেয়ের সঙ্গে কারো সম্পর্ক নেই। হোটেলের মালিক ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে তার মেয়েকে হত্যা করেছে। পুলিশ তার মেয়ের মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে রাজি হয়নি। হত্যা মামলা করতে চাইলে তাও গ্রহণ করেনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close