প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক ইফতার মাহফিলে বলেন, ‘রমজান হলো দোয়া কবুলের মাস। আমরা চাই, বাংলাদেশ যে পথে অগ্রসর হচ্ছে আমরা যেন সে আর্থসামাজিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত ও দেশের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারি, সেজন্য দোয়া করবেন।’ প্রধানমন্ত্রী এদিন বিচারপতি, কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সম্মানে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার জনগণের জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই, আমাদের সমাজ সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত থাকুক।’

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’-এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময় এ নীতি মেনে চলি এবং সকলের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।’

সবাইকে আগাম ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘কয়েক দিন বিদেশ সফরের কারণে ঈদ উৎসবের সময় আমি দেশে থাকতে পারছি না।’

৭ জুন দেশে ফিরবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত যে, বিদেশ সফর থাকায় ঈদে আমি দেশে থাকতে পারছি না। প্রথমে আমি জাপান যাব, এরপর ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আমি সৌদি আরব যাব এবং সেখান থেকে ফিনল্যান্ড যাব। যেহেতু ঈদের সময় থাকতে পারছি না, সেহেতু এ ইফতার মাহফিল থেকে আমি আগেভাগে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের আমার আন্তরিক ঈদ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও কূটনৈতিক কোরের ডিনরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ ইফতারে যোগদান করেন।

"