নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ মে, ২০১৯

‘বালিশ-কেতলি’ যেন ‘হিমশৈলের চূড়া’ না হয় : টিআইবি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আবাসিক ভবনের কেনাকাটায় সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি এই প্রকল্পের সর্বাঙ্গীণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই প্রকল্প নিয়ে নানামুখী বিতর্ক থাকার পরও তা সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। কিন্তু শুরুতেই ক্ষুদ্র একটি অংশে যে ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তাকে আমরা এই প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ভবিষ্যতের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে মনে করি।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। সেখানে মাত্র ২৫ কোটি টাকা খরচের ক্ষেত্রেই যে ভয়াবহ অনিয়মের চিত্র দেখা যাচ্ছে তাতে শঙ্কিত না হয়ে উপায় নেই।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের বরাত দিয়ে টিআইবি বলছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়মের মাত্রা ‘সাগরচুরিসম’। তবে এ ধরনের সরকারি প্রকল্পে সরকারি কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের যোগসাজশে দুর্নীতির অভিযোগ বাংলাদেশে এটাই প্রথম নয়।

আলোচিত এই দুর্নীতি প্রসঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রকল্পটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এবং এ বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত চলছে জানিয়ে দুদক ধীরে চলো নীতি ঘোষণা করেছে। এতে আমরা শঙ্কিত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close