পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন বিকাল ৪টা। সাতরাস্তা থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত যানবাহন ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল। যানবাহনের চাকা ঘুরছিল না একেবারেই। সড়কটির ফ্লাইওভার অংশেও ছিল তীব্র যানজট। তেজগাঁওয়ে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন জাহিদ সাত্তার। সপরিবারে বাস করেন আজিমপুর বটতলা এলাকায়। অন্য দিনের চেয়ে বেশ খানিকটা আগেই অফিস থেকে বের হয়েছেন। যানজটের কবলে পড়ে মগবাজার ফ্লাইওভারে দাঁড়িয়ে রয়েছে তাকে বহনকারী গাড়ি।

মিনহাজ বলেন, অন্য দিন অফিস থেকে বের হতে সাড়ে ৫টা পার হয়ে যায়, ৪টায় বের হয়েছি। প্রথম ইফতারি পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে করব। চলতি পথে ইফতারি পণ্য কিনেও সময়মতো ঘরে পৌঁছাতে পারিনি।

রমজান মাসে রোজাদাররা পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইফতার করতে চান। ব্যস্ততা কাটিয়ে ইফতারের সময় হওয়ার আগেই বাড়ি ফেরার তাগিদ থাকে। কিন্তু এতে বড় বাধা যানজট। মগবাজার ও মৌচাক এলাকায় দেখা যায়, ঘরমুখো মানুষরা যানবাহন পাননি। বাধ্য হয়ে বিকল্প পথে ঘরে ফিরেছেন তারা। মগবাজার এলাকায় পরিবার নিয়ে দাঁড়িয়ে সাইফুল ইসলাম। বাস করেন হাতিরঝিল সংলগ্ন মধুবাগে।

২০ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও উঠতে পারছেন না কোনো বাসে। সব বাস যাত্রীতে ঠাসা। ফলে বাধ্য হয়ে রিকশায় চড়ে ঘরে ফিরছেন তারা।

মৌচাক রেলগেটের কাছে ফলের ব্যবসা করেন শাহিন শেখ। সপরিবারে থাকেন টঙ্গী স্টেশন রোডে। নতুন বাজারে তীব্র যানজটে আটকে পড়েন তিনি। যানজটের কারণে পরিবারের সঙ্গে প্রথম দিনের ইফতারি করতে পারেননি শাহিন।

"