আব্দুল আলীম, নারায়ণগঞ্জ

  ২৬ এপ্রিল, ২০১৯

রামপুরা-রূপগঞ্জে বালু নদে সেতু

৫ গ্রামের মানুষের অপেক্ষার দিন শেষ হবে কবে?

বালু নদের ওপর সেতু নির্মাণ হবে এ আশায় বুক বেঁধে আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে অপেÍগার প্রহর গুনছেন তারা। এ অপেÍগার আর যেন শেষ নেই। এ সেতু হলে ঢাকা দÍিগণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫নং ওয়ার্ডের বালুরপাড়, ইদারকান্দি, ফকিরখালীসহ পাঁচটি গ্রাম ও রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের যোগাযোগ সহজ হবে। জানা গেছে, প্র¯ত্মাবিত রামপুরা-কায়েতপাড়া সড়কের বালু নদে সেতুর অনুমোদন হয় ২০০১ সালে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের (নারায়ণগঞ্জ এলজিইডি) অধীনে এ সেতুর নির্মাণকাজও শুর¤œ হয় ২০০৩ সালে।

পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে এক বছরের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেওয়া হয় একটি ঠিকাদার কোম্পানিকে। পরবর্তীতে একবার বরাদ্দও দেওয়া হয়েছিল। এতে সেতুটির দুটি স্প্যান নির্মাণ করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয় ওই ঠিকাদার। নির্মাণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সেতুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে নতুন করেও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

এই সেতুর বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবদুস সাত্তার বলেন, বালু নদের ওপর নির্মাণকাজ থেমে থাকা সেতুটির দায়িত্ব বর্তমানে সড়ক বিভাগের কাছে নেই। নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগ বলছে কায়েতপাড়ায় বালু নদের ওপর সেতুটির কাজ শেষ করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় (নারায়ণগঞ্জ এলজিআরডি)। তবে ঢাকা জেলা এলজিআরডি বলছে খিলগাঁও থানা এলাকা সিটি করপোরেশনের অšত্মর্ভুক্ত বলে সেতুটি তাদের করার কোনো এখতিয়ার নেই। নারায়ণগঞ্জ জেলা এলজিআরডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সেলিম সরকার বলেন, কাজ বন্ধ থাকা বালু নদের ওই সেতুটি আমাদের করার কথা জানতে পেরে খোঁজ নিয়েছি। পরে জানা গেছে এটি এখন নারায়ণগঞ্জ এলজিআরডি করবে না। এটি হয়তো ঢাকা জেলা এলজিআরডি করবে।

ঢাকা জেলা এলজিআরডির এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মো. মোশারফ হোসেন বলেন, বালু নদের ওপর সেতুটি নির্মাণকাজ শুর¤œ করা বিষয়ে ঢাকা জেলা এলজিআরডি দায়িত্ব নিতে পারবে না। এর কারণ সেতুটির এক পাশে রূপগঞ্জ ও আরেক পাশে ডিএসসিসির ৭৫নং ওয়ার্ড।

বালু নদের ওপর সেতুটি নির্মাণকাজ শেষ হলে ঢাকা দÍিগণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫নং ওয়ার্ড ও রূপগঞ্জের বাসিন্দারা সহজে নগরীতে যাতায়াত করতে পারবেন। পাশাপাশি সেতু কেন্দ্রিক সড়কবিহীন গ্রামেও পরিকল্পিত রা¯ত্মা নির্মাণ হবে। রূপগঞ্জ ও ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ শুর¤œ হলে প্রত্যšত্ম ওই পাঁচ গ্রামের অভ্যšত্মরীণ পরিকল্পিত সড়ক নির্মাণ হতো। এতে করে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নবাসী ও নাসিরাবাদবাসীরা ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে ঢাকার রামপুরায় যেতে পারবেন। অন্যদিকে বনশ্রী থেকে খিলগাঁওয়ের কায়েতপাড়া হয়ে রূপগঞ্জ সংযোগ সড়কের পাঁচ কিলোমিটার সড়ক এখনো অনির্মিতই রয়ে গেছে।

৮ থেকে ১০ বছর আগে ফসলি জমির ওপর দিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার মাটি ফেলে রা¯ত্মা দৃশ্যমান করা হয়েছে। এ সড়কটিতে দুটি কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও হঠাৎ রা¯ত্মার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেতু সংলগ্ন বালুরপাড় গ্রামের বাসিন্দা রহমান বলেন, আমরা এখনো নড়াই নদের মাধ্যমে নাসিরাবাদ থেকে বিচ্ছিন্ন পাঁচটি গ্রামের মানুষ। বালু নদের এ সেতুটিই আমাদের স্বপ্ন। এ সেতুটি হলে পাঁচ গ্রামেও রা¯ত্মা হয়ে যেত। আমরা এখনো নৌকায় চলি। সহজ যাতায়াতব্যবস্থা না থাকায় নগরীর প্রাণকেন্দ্রের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close