টাঙ্গাইলে যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানার জামিন স্থগিত করে চেম্বার আদালতের দেওয়া আদেশ আপিল বিভাগেও বহাল রাখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন এবং রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটির নিষ্পত্তি করে দেন। এর ফলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় জামিন পাওয়া রানা এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী।

এদিন রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশিরউল্লাহ। অন্যদিকে রানার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, আবদুল বাসেত মজুমদার ও সাঈদ আহমেদ রাজা।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ওই ঘটনায় ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করলে তদন্ত করে ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে পুলিশ। পরে এ মামলায় গ্রেফতার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরন মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে আমানুর রহমান খান রানার নাম আসে।

"