নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ এপ্রিল, ২০১৯

পরিবেশ রক্ষা করে ফ্যাশনশিল্পে টেকসই উৎপাদনের তাগিদ

পরিবেশ রক্ষা করে ফ্যাশন শিল্প খাতে টেকসই উৎপাদনের তাগিদ দিয়েছেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও ফ্যাশন পণ্যের টেকসই ব্যবহারের প্রতিও গুরুত্বারোপ করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। গতকাল শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ফ্যাশন খাত নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তাদের কণ্ঠে ভেসে ওঠে এসব তাগিদ। ফ্যাশন রেভুল্যুশন এবং অ্যাকশন এইডের উদ্যোগে ‘ভয়সেস অ্যান্ড সল্যুশন : ফ্যাশন শিল্পে টেকসই উৎপাদন এবং ব্যবহারের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। এছাড়াও সেমিনারে বক্তব্য দেন জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক হাসান, নিউ এজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম, অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএ পরিচালক শরীফ জহির এবং কিউটেক্স সল্যুশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তহুরা খানম। অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবিরের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন ফ্যাশন রেভুল্যুশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর নওশীন খায়ের। সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন শিল্পের প্রায় তিন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের বাজার রয়েছে। তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। তবে এই ফ্যাশন খাতই আবার পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দূষণকারী খাত। ফ্যাশন খাত বিশ্বের ২০ শতাংশ বর্জ্য পানি এবং ১০ শতাংশ কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের জন্য দায়ী। একই সঙ্গে তুলা চাষ ২০ শতাংশ কীটনাশক বস্তু এবং ১০ শতাংশ কীটনাশক উৎপাদনের জন্য দায়ী। নওশীন খায়ের তার প্রবন্ধে বলেন, জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন ইউএনএফসিসির মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে ফ্যাশন শিল্পের জন্য গ্রিন হাউস গ্যাস এবং বর্জ্য নিঃসরণ বৃদ্ধি পাবে ৬০ শতাংশ। ২০৫০ সালের মধ্যে ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন হবে বর্তমানে বিদ্যমান প্রাকৃতিক সম্পদের তিনগুণ। তাই এ নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে আনতে টেকসই ফ্যাশন শিল্পের দিকে ধাবমান হওয়া জরুরি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close