যশোর প্রতিনিধি

  ০৬ এপ্রিল, ২০১৯

যশোরে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা

যশোরের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছেন। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার প্রতিবাদে যশোরের ২১টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার তারা অনানুষ্ঠানিক এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেন।

নেতারা বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। আর এ উৎসবকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য ধর্মান্ধ গোষ্ঠী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করার জন্য সংস্কৃতিকর্মীরা নিরন্তর আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেনÑ যা সরকারের জন্য সহায়ক। সরকার প্রতিক্রিয়াশীল চক্রটিকে মোকাবিলা না করে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানকে শৃঙ্খলিত করতে চাইছে বলে অভিযোগ করছেন তারা। যশোরের সাংস্কৃতিক নেতারা এমন সিদ্ধান্তের শুরু থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। এর প্রতিবাদে এবার পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বিকেলের সব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান যশোরের সংস্কৃতিকর্মীরা।

একইসঙ্গে আগামী রোববার সকালে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি পেশ এবং বিকেলে শহরের চিত্রা মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের যশোর জেলার সভাপতি ডি এম শাহিদুজ্জামান, সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারু ও ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, যুগ্ম সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ রওশন আরা রাশু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, উদীচীর সহ-সভাপতি তন্দ্রা ভট্টাচার্য, পুনশ্চের প্রতিষ্ঠাতা সুকুমার দাস, তীর্যকের প্রতিষ্ঠাতা দীপংকর দাস রতন, নৃত্যবিতানের প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জীব চক্রবর্তী, সুরবিতানের সাবেক সম্পাদক বাসুদেব বিশ্বাস, শ্রুতির লিয়াকত আলী, সপ্তসুরের রফিকুল ইসলাম, যশোর শিল্পীগোষ্ঠীর প্রদীপ চক্রবর্তী রানা, স্বরলিপির নিবাস মন্ডল, ভৈরবের সম্পাদক খাদিজা ইসলাম তন্বী প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close