কক্সবাজারে টেকনাফে ১১৫ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা সবাই সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে দাবি পুলিশের। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যাং থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ২৬ শিশু, ৩৯ নারী ও ৫০ জন পুরুষ রয়েছে।

টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, গতকাল শুক্রবার বিকেলে হোয়াইক্যাংয়ের ঢালারচরা এলাকা থেকে ১১৫ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। তারা সবাই বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবির থেকে বের হয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ওই জায়গায় জড়ো হচ্ছিল। এ সময় তাদের আটক করা হয়।

পরিদর্শক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ১১৫ রোহিঙ্গা মানবপাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। পাচারকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। উদ্ধার করা রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ ক্যাম্পে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি পাচারকারী চক্রটি প্রচার করে যে, রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা একটি বড় জাহাজের ব্যবস্থা করেছে। জাহাজটি গভীর সাগরে অপেক্ষমাণ রয়েছে। এরপর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই জাহাজের উদ্দেশে রওনা করে ধরা পড়তে থাকে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু শরণার্থীরা।

শামলাপুর রোহিঙ্গা শিবিরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা নেতা জানান, তাদের শিবিরের ৪০ জনসহ শতাধিকের বেশি রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। তারা প্রতিদিনের মতো কাজে বের হয়, সাগরপথে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল না বলে দাবি তার।

"