যশোর প্রতিনিধি

  ০৪ এপ্রিল, ২০১৯

যশোরে শিশু তৃষা ধর্ষণ ও খুন

নিরাপত্তার অভাবে বাদী এলাকা ছাড়া : অগ্রগতি নেই মামলার

যশোর শহরতলির ধর্মতলা এলাকার শিশু আরেফিন তৃষা (৬) গণধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তকাজের অগ্রগতি নেই। তদন্ত থমকে আছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা। এ ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ধর্মতলা এলাকার ত্রাস শক্তি গাজীও গ্রেফতার হয়নি। এ পরিস্থিতির মধ্যে মামলার বাদী নিরাপত্তার অভাবে এলাকা ছেড়ে নড়াইলে অবস্থান করছেন।

এদিকে ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত শক্তি গাজীর নেতৃত্বেই এই গণধর্ষণ ও হত্যাকান্ড হয়েছে বলে নিহতের স্বজনরা দাবি করেছেন। নিহতের বাবা তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইজিবাইকের ভাড়া চাওয়া নিয়ে বছর তিনেক আগে শক্তি গাজীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় প্রতিশোধ নিতে শক্তির নেতৃত্বে তৃষাকে গণধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। তিনি আরো জানিয়েছেন, জড়িতরা এলাকার মাস্তান। আর তিনি এলাকার ভাড়াটিয়া। ফলে সেখানে নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন। এজন্য গ্রামের বাড়ি নড়াইলের ভাটিয়ায় সপরিবারে চলে এসেছেন।

এলাকাবাসী জানান, ধর্মতলা এলাকার ইজিবাইকচালক তরিকুল ইসলামের মেয়ে শিশু তৃষা ৩ মার্চ বিকেলে আরবি পড়ে বাসায় ফেরে। এরপর খেলতে বের হয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। ২৪ ঘণ্টা পর বাড়ির পেছনের ডোবায় তার বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়। তৃষাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তে উঠে আসে। ঘটনার পর স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। তারা দোষীদের শাস্তির দাবিতে ধর্মতলায় অবস্থান নিয়ে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় স্থানীয় আউয়ালের ছেলে সাইফুল ইসলামকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আর ৬ মার্চ ঘটনায় জড়িত মাদক কারবারি শামীম ক্রসফায়ারে নিহত হয়।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শোয়েব বলেন, এ ঘটনায় আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close