নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০২ এপ্রিল, ২০১৯

অটিজম সচেতনতা দিবস

তিন দিন জ্বলবে নীল বাতি

১২তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস আজ। অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘সহায়ক প্রযুক্তি ব্যবহার, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির অধিকার’। এ উপলক্ষে আজ থেকে তিন দিন বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নীল বাতি প্রজ্বলিত করবে সরকার। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বাতি প্রজ্বলন কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উদ্্যাপন উপলক্ষে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। মন্ত্রী বলেন, অটিজম কোনো রোগ নয়। এটি শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশজনিত একটি সমস্যা, যা শিশুর সামাজিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধা সৃষ্টি করে। দিবসটি উপলক্ষে আগামী তিন দিন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নীল বাতি প্রজ্বলন করা হবে।’ এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষের সহায়তায় সমাজের বিত্তবান ও সচেতন ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

আবদুল হামিদ বলেন, উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পেলে অটিস্টিক ব্যক্তিরাও রাষ্ট্রের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম। এ জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের পারিবারিক ও সামাজিকভাবে যথাযথ সমর্থন ও সহায়তা প্রদান অত্যন্ত জরুরি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অটিস্টিকসহ প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার অর্জনে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। অটিস্টিক ব্যক্তিসহ সব ধরনের প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করতে পারে প্রযুক্তি ও উপকরণ। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আমরা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল, বিশেষ শিক্ষাকেন্দ্র, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্র এবং অটিজম রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করেছি। অটিস্টিকসহ সব প্রতিবন্ধী মানুষের যোগাযোগ, শিক্ষা, সামাজিক দক্ষতা, স্পিচ বা ল্যাঙ্গুয়েজ দক্ষতা তৈরির পাশাপাশি তাদের জীবনমান উন্নয়নে এসব কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

প্রসঙ্গত, অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৭ সালে ২ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

একসময় অটিজম ছিল একটি অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যু। এ সম্পর্কে সমাজে নেতিবাচক ধারণা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে ও স্কুল সাইকোলজিস্ট সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ২০০৭ সালে এ বিষয়ে দেশে কাজ শুরু করেন। সায়মা ওয়াজেদ এই অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যুতে তার বিরাট অবদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি পেয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close