জাবি প্রতিনিধি

  ৩১ মার্চ, ২০১৯

ছিনতাইয়ের অভিযোগে জাবি ছাত্রলীগের ৩ কর্মী আটক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক গাড়িচালকের জামাতাকে ‘তুলে নিয়ে মারধর, ছিনতাই ও টাকা দাবির’ অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে চারজন শাখা ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছন থেকে অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে আটক করে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। অন্য দুজন পালিয়ে যায়।

অভিযুক্তরা হলো নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সঞ্জয় ঘোষ, মো. আল রাজী (মীর মশাররফ হোসেন হল) এবং ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের মো. রায়হান পাটোয়ারী (শহীদ রফিক-জব্বার হল), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শাহ মোস্তাক সৈকত (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল) ও দর্শন বিভাগের মোকাররম শিবলু (মীর মশাররফ হোসেন হল)। তাদের মধ্যে রায়হান পাটোয়ারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃত ও অবাঞ্ছিত হয়েছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে সঞ্জয় ঘোষ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আল রাজী ও রায়হান পাটোয়ারী মারধরের কথা স্বীকার করলেও ছিনতাই ও চাঁদা দাবির কথা অস্বীকার করেছেন। বাকি দুজনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।ভুক্তভোগীর আত্মীয়স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল শনিবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িচালক মো. আলমগীর হোসেনের জামাতা মো. মনির সরদার ঢাকায় যাওয়ার জন্য বিশমাইল এলাকার রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় ওই পাঁচজন তাকে ধরে সঙ্গে থাকা নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন। এরপর তাকে ধরে নিয়ে একটি ইজিবাইকে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে নিয়ে যান। সেখানে তারা তাকে মাদক ব্যবসায়ী বানানোর চেষ্টা করেন এবং বেধড়ক মারধর করেন। পরে তারা মনিরের স্ত্রীর কাছে মুঠোফোনে এক লাখ টাকা দাবি করেন। এরপর ইজিবাইক চালকের তথ্য নিয়ে মনিরের শ্বশুরবাড়ির লোকজনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী ঘটনাস্থলে যান।

এ সময় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করলে তাদের তিনজনকে আটক করা হয় আর অন্য দুজন পালিয়ে যান। অন্যদিকে ভুক্তভোগী মনির সরদারকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।

মো. মনির হোসেন বলেন, আমি ফার্মগেটে প্রাইভেট কার চালাই। ভোরে ফার্মগেটে যাওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে রওনা দিই। বিশমাইলে রাস্তার ঢাল বেয়ে নামার সময় তারা আমাকে ধরে সবকিছু ছিনিয়ে নেয়। এরপর আমাকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে চেইন দিয়ে মারধর করে ও টাকা দাবি করে। জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেছেন, সংগঠনের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান এ বিষয়ে বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ছিনতাই, মারধর ও টাকা দাবির অভিযোগ এসেছে। আগামীকাল (রোববার) ডিসিপ্লিন বোর্ড বসিয়ে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটকদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close