রাঙামাটি প্রতিনিধি

  ২২ মার্চ, ২০১৯

অবৈধ অস্ত্রধারীরাই বাঘাইছড়ি হত্যাকান্ডে জড়িত : তদন্ত কমিটি

অবৈধ অস্ত্রধারীরাই রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে হত্যাকান্ডে জড়িত বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ কথা জানান তিনি।

দীপক চক্রবর্তী জানান, তারা ঘটনার সবদিক খোঁজ নিয়ে দেখছেন। কী ঘটেছিল, কীভাবে ঘটল, কারা এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে, তাও খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানান, আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যেই তদন্ত রিপোর্ট উপস্থাপন করা হবে। প্রয়োজন হলে আরো সময় চাওয়া হতে পারে।

তিনি বলেন, এই হত্যাকান্ড পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে মনে হচ্ছে, তবে এটা করা হয়েছে তা নিশ্চিত নয়। তারা দুষ্কৃতকারী বলে মনে করি। এর আগে তদন্ত কমিটির সদস্যরা বাঘাইছড়ি উপজেলায় নির্বাচন শেষে সংঘটিত সশস্ত্র হামলা ও হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল ৯ কিলো এলাকা ও থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। ঘটনায় বেঁচে যাওয়া প্রত্যক্ষদর্শীসহ আহতদের বক্তব্য গ্রহণ করেন। সকালে তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ও নিহত-আহতদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করেন।

এ সময় তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য প্রশাসন আশীষ কুমার বড়ুয়া, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ, বাঘাইহাট জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর আশরাফ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেক আহমেদ, চট্টগ্রাম ৩০ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক ও অধিনায়ক মো. নুরুল আমিন ও সদস্যসচিব রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম।

এ সময় তারা ওইদিন গাড়িবহরে থাকা আনসার ও বিজিবির সঙ্গে কথা বলেন। সেদিন কী ঘটেছিল, তা জানার চেষ্টা করেন। ঘটনার আগে ও পরের অবস্থা এবং সাজেকের ভোটকেন্দ্রে কোনো সমস্যা হয়েছিল কি না, তাও জানার চেষ্টা করেন। এরপর ১২টার দিকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসাধীন আহতদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।

এদিকে বিলাইছড়িতে আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি চাকমাকে হত্যা ও বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর সংঘটিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন করেছে বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বাঘাইছড়ি। এ সময় বক্তারা সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে বাঘাইছড়ি সড়কের ৯ কিলো নামক এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় সাতজন নিহত হয়। আরো কয়েকজন আহত হয়। ঘটনার পরদিন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close