নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

উত্তর সিটির ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড

ভোটের প্রচারে গুরুত্ব পাচ্ছে উন্নয়নের অঙ্গীকার

রাজধানী তুরাগের প্রাণকেন্দ্র ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডটি নতুনভাবে উত্তর সিটিতে যুক্ত হয়েছে। এখানে প্রথমে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেও এখন আছেন দুজন। তারা হলেন হাজী ফিরোজ আলম ও নাসির উদ্দিন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা এ দুজনের মাঝে হলেও এখানে রয়েছে অনেক হিসাব-নিকাশ। তুরাগের সাবেক তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে সিটির এই ৫৩নং ওয়ার্ড গঠিত। ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে আগের তিনজন মেম্বার এখানে প্রতিনিধিত্ব করলেও কোনো উন্নয়ন তারা দেখাতে পারেননি। এ নিয়ে এই ওয়ার্ডবাসীর মনে ক্ষোভ আছে। এ কারণে এই দুই প্রার্থীকে নিয়েই চলছে ভোটারদের মাঝে কথাবার্তা। তাছাড়া ভোটারদের মধ্যেও এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ওয়ার্ডের উন্নয়নের বিষয়। এই দুই প্রার্থীও ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, নির্বাচিত হলে গুরুত্ব দেবেন ওয়ার্ডের উন্নয়ন ও মাদক নিয়ন্ত্রণে।

সাবেক মেম্বার নাসির উদ্দিন বেশ কয়েক বছর থেকেই জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন। কিন্তু ভোটাররা তার কাছ থেকে এলাকার উন্নয়ন পাননি। তাই নির্বাচনের নতুন হিসাব নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন এলাকার প্রার্থী পরিচিত মুখ হাজী ফিরোজ আলম। রানাভোলা, নয়ানগর, ফুলবাড়ীয়া, দিয়াবাড়ী এলাকায় বেশি সংখ্যক ভোটের নিয়ন্ত্রণ তার হাতে থাকায় নির্বাচনী হিসাব ঘুরে যাচ্ছে। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মানুষ হিসাব করছে কে তাদের কাছের লোক।

নতুন এই সাবেক ওয়ার্ডটি হরিরামপুর ইউনিয়নের নয়ানগর, নলভোগ, শুক্রাভাঙ্গা, ধরঙ্গারটেক, শেখদিরটেক, দিয়াবাড়ী, তারারটেক, নিমতলির টেক, চটন্ডালভোগ, রানাভোলা, ফুলবাড়ীয়া, বামনারটেক নিয়ে গঠিত। ওয়ার্ডটিতে লক্ষাধিক লোকের বসবাস হলেও ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৮০০ জন। ২০১৬ সালের জুনে হরিরামপুর ইউনিয়নের কাঠামো ভেঙে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৩নং ওয়ার্ড গঠিত হয়। ওয়ার্ডবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এ ওয়ার্ডের দৃশ্যমান কোনো উন্নতি গত ১০ বছরেও হয়নি। ওয়ার্ডের ছোট গলি রাস্তা থেকে শুরু করে বাড়ির চলার রাস্তা বছরের অধিকাংশ সময়ই পানির নিচে তলিয়ে থাকে। কোন কোন রাস্তার অবস্থা এত খারাপ যে, তা পায়ে হেঁটেও চলাচলের অযোগ্য। এলাকায় গ্যাসের সংকট যেমন আছে, নেই পর্যাপ্ত খোলা মাঠ ও শিশুপার্ক। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. সোহেল রানা বলেন এ অবস্থার জন্য সাবেক মেম্বাররাই দায়ী। মেম্বারদের কেউ কেউ এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আবার কিছু মেম্বার অনেক প্রার্থীর পক্ষও নিচ্ছেন। কিন্তু ভোটাররাও সচেতন। তারা বিচার করছেন, কে কতটুটু উন্নয়ন করেছেন। এসব বিবেচনা সামনে আনলে প্রার্থীরা নতুন জনপ্রতিনিধির দিকেই ঝুঁকবেন বলে জানা গেছে।

ভোটারদের এই কথাগুলো এই প্রতিবেদক দুই প্রার্থীর কাছে উপস্থাপন করলে একেক জনের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যায়। এই বিষয়ে নতুন এবং স্থানীয় প্রার্থী ফিরোজ আলম বলেন এ ওয়ার্ডের কোনো উন্নয়ন আগে হয়নি, এটা সত্য। এ ওয়ার্ডটি রাজধানীর অংশ হলেও এটি গ্রামের অন্য যে কোনো ওয়ার্ড থেকেও ্উন্নয়নের দিক থেকে পেছনে পড়ে আছে। আমরা এর ভুক্তভোগী। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই। এলাকাবাসী আমাকে সেই কাজের দায়িত্ব দিতে চায় বলেই আমি তাদের কথায় নির্বাচনে এসেছি। আশা করছি, জিতব। অপর কাউন্সিলর প্রার্থী নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে গুরুত্ব দেব; বিশেষভাবে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন নালাসহ রাস্তা, প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা, খেলার মাঠের ব্যবস্থা এবং মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close