কূটনৈতিক প্রতিনিধি

  ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

জাতিসংঘে বাংলাসহ ৪১ ভাষার স্মারক ডাকটিকিট

যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ সদর দফতরে তৃতীয়বারের মতো উদ্্যাপিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে’ বাংলাসহ ৪১ ভাষার স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের কনফারেন্স রুম-২-এ জাতিসংঘের বৈশ্বিক যোগাযোগ বিভাগ, ইউনেসকোর নিউইয়র্ক কার্যালয়, জাতিসংঘ পোস্টাল বিভাগ, জাতিসংঘ সচিবালয়ের বহু ভাষাবিদ সমন্বয়কারী কার্যালয়, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিস ও জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনসহ গুয়াতেমালা, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া ও পাপুয়া নিউগিনি মিশনের সম্মিলিত উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান হয়।

আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানÑ দুই পর্বে বিভক্ত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের এ আয়োজনের শুরুতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাগত ভাষণ দেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

আলোচনা পর্বে অংশ নেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ এফ এম রুহুল হক, জাতিসংঘে মোজাম্বিকের স্থায়ী প্রতিনিধি অ্যান্তোনিও গুমেন্ডি, পাপুয়া নিউগিনির স্থায়ী প্রতিনিধি ম্যাক্স হুফানেন, নাইজেরিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি তাইজানি মোহাম্মাদ ব্যান্দে, গুয়াতেমালার উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ওমর ক্যাস্টানেডা এবং মহাসচিবের পক্ষে জাতিসংঘের বৈশ্বিক যোগাযোগ বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অ্যালিসন স্মেল, ইউনেসকোর মহাপরিচালকের পক্ষে নিউইয়র্ক ইউনেসকো অফিসের পরিচালক মারিয়ে পাওলি রোউডিল ও জাতিসংঘ পোস্টাল বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের পক্ষে জাতিসংঘের অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের প্রশাসন পরিদফতরের পরিচালক প্যাট্রিক ক্যারে। এ ছাড়া এ এফ এম রুহুল হকের নেতৃত্বে জাতিসংঘে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) বার্ষিক শুনানিতে যোগ দেওয়া উপলক্ষে নিউইয়র্কে সফররত বাংলাদেশের সংসদ সদস্য মো. আবু জহির ও আহসান আদেলুর রহমানও ছিলেন। আলোচকরা পৃথিবীর প্রতিটি ভাষার সংরক্ষণ ও সুরক্ষা, বহুভাষিক শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়া এবং ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বাহন হিসেবে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তারা নিজ নিজ দেশের ভাষাগত বৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও উন্নয়নে নেওয়া পদক্ষেপের কথা বলেন।

এ ছাড়া আলোচকরা বাঙালির ভাষা আন্দোলন এবং এরই ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পেতে বাংলাদেশের নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন। প্রতি বছর জাতিসংঘে এ দিবসটি উদ্্যাপনে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বিশেষ ভূমিকার কথাও উঠে আসে জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিদের বক্তব্যে।

রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিশ্বের ২৫ কোটি মানুষের ভাষা এবং সপ্তম জনপ্রিয় ভাষা বাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবটি আবার উত্থাপন করেন।

এ এফ এম রুহুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ বহু ভাষাভাষী, বহু সংস্কৃতির এবং বহু ধর্মের একটি দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের স্বতন্ত্র পরিচয়, ভাষা, সংস্কৃতি, ভূমি ও সম্পদ সংরক্ষণের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর ভাষা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও প্রথা সংরক্ষণ করতে আমরা দেশের তিনটি পার্বত্য এলাকাসহ সারা দেশে ৭টি বিশেষায়িত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছি। বিভিন্ন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর ভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছি।’

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেওয়া ইউনেসকোর মহাপরিচালকের বাণী পড়ে শোনান নিউইয়র্ক ইউনেসকে‹া অফিসের পরিচালক মারিয়ে পাওলি রোউডিল ও নিউইয়র্ক সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাসিওর বাণী পড়েন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র কার্যালয়ের ডেপুটি কমিশনার অ্যাইসসাতা কামারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close