যশোর প্রতিনিধি
যশোরে যুবক খুনের রহস্য উদ্ঘাটন
যশোর শহরতলির শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার যুবক খুনের ঘটনায় তার মা বকুল খাতুন ৯ জনের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। খুন হওয়া ওই যুবকের প্রকৃত নাম আবদুল্লাহ আল মামুন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। একই সঙ্গে হত্যার কারণ উদ্ঘাটন করে প্রেস ব্রিফিং করেছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বিফ্রিং করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আনসার উদ্দিন। শনিবার খুন হন মামুন। আহত হন নারীসহ আরও দুজন। নিহত মামুন যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের মৃত আবদুর রবের ছেলে।
প্রেস বিফ্রিংয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আনসার উদ্দিন জানান, মামুন হত্যাকান্ডের ঘটনায় মা বকুল খাতুন কোতোয়ালি থানায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
এর মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলো যশোর শহরের ঘোপ এলাকার আবদুস সবুর খোকার ছেলে সুজন ওরফে ছোট সুজন, সদর উপজেলার শেখহাটি খাঁপাড়া এলাকার তাজু শেখের ছেলে তামিম রেজা, সদরের শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার রেজাউলের ছেলে ফয়সাল ও হারুন শেখের ছেলে সুমন। বাকি পাঁচ আসামি হলো শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার সাগর, ইমন, মঞ্জিল, হৃদয় ও খানজাহান।
বিফ্রিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল গোলাম রব্বানী বলেন, যশোর শহরতলির শেখহাটি জোড়াপুকুর এলাকায় বাপ্পা নামের এক যুবক বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে যান। সেখানে ফয়সাল, সাগর ও হৃদয় নামে কয়েকজন যুবক তাকের আটকে ব্লাকমেইল করে তারা টাকা দাবি করে। বিষয়টি ফোনে তার বন্ধুদের জানায়। তারা সেখানে গিয়ে সাগরকে মারতে গেলে তার মা শেফালি বেগম ঠেকাতে গিয়ে ছুরিকাহত হন। এরপর সাগরের সঙ্গীরা বাপ্পার বন্ধু মামুন ও আরিফকে ছুরিকাঘাত করে। এদের মধ্যে মামুন মারা যান। আরিফকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
"