মহানগর (সিলেট) প্রতিনিধি

  ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

ছাতকের শিশু ইমন খুনে চারজনের ফাঁসির রায়

সুনামগঞ্জের ছাতকে চার বছর আগে শিশু শ্রেণির ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ইমনকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে চার আসামির ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রেজাউল করিম গতকাল বুধবার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস এবং আরো ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

যাদের ফাঁসির রায় হলো ছাতক থানার ব্রাহ্মণজুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সুয়েবুর রহমান সুজন, একই থানার নোয়ারাই গ্রামের জায়েদ, রফিকুর রহমান ও উপজেলার বাতিরকান্দি গ্রামের সালেহ আহমদ (পলাতক)। চারজনের মধ্যে তিনজন কারাগারে রয়েছেন।

আদালতের কৌঁসুলি (পিপি) কিশোর কুমার কর বলেন, চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার বিষয়ে আমরা আদালতে আসামিদের অপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তাই আদালত জড়িতদের শাস্তি দিয়েছেন। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আলোচিত এই মামলায় ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আদলত সূত্র জানায়, ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ইমনকে ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা শিশু ইমনকে হত্যা করে। ৮ এপ্রিল মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে ইমনের হত্যাকারী সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বিষের বোতল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে। এছাড়াও বাতিরকান্দি হারও থেকে ইমনের মাথার খুলি ও হাতের হাড় উদ্ধার করে এবং জড়িতদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

সূত্র আরো জানায়, অপহরণ ও মামলা দায়েরের প্রায় সাড়ে ৭ মাস পর ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এদের মধ্যে তিনজনকে বাদ দেন আদালত। অপর চার আসামির মধ্যে বাতিরকান্দি গ্রামের সালেহ আহমদ ছাড়া একই গ্রামের রফিক, জায়েদ ও উপজেলা ব্রাহ্মণ জুলিয়া গ্রামের সুজন কারাগারে রয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close