গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও জনগণের মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইরান ও কাতার। গতকাল মঙ্গলবার স্পিকারের সংসদ ভবনের কার্যালয়ে দুই দেশের রাষ্ট্রদূত স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই আগ্রহের কথা জানান।

ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নাফার সঙ্গে বৈঠকে স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সরকার বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা ভাতা, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে সমাজের দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও তথ্য প্রযুক্তি খাত বিশেষ করে সফটওয়্যার উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

স্পিকার ইরানের স্পিকার আলী লারিজানিকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং আইপিইউতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিকে সমর্থনদানের জন্য ধন্যবাদ জানান। জবাবে ইরানের রাষ্ট্রদূত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন প্রমাণ করে এদেশের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এদিকে স্পিকারের সঙ্গে বৈঠককালে কাতারের রাষ্ট্রদূত আহমেদ মোহাম্মদ আল-দিহাইমি বলেন, কাতার-বাংলাদেশ হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে। কাতার চ্যারেটির মাধ্যমে সুদীর্ঘ সময় থেকে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। বর্তমানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে বৃহত্তম ভিসা সেন্টার স্থাপনসহ অনেক কার্মকা- গ্রহণ করেছে। আগামী দিনেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদূত।

সাক্ষাৎকালে কাতারের রাষ্ট্রদূত, আইপিইউ সম্মেলনের আমন্ত্রণপত্র স্পিকারের হাতে তুলে দেন এবং সম্মেলনে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান।

"