নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ জানুয়ারি, ২০১৯

নবম ওয়েজবোর্ডের সুপারিশ পর্যালোচনায় নতুন কমিটি : তথ্যমন্ত্রী

সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের বেতন বাড়াতে নবম মজুরি বোর্ডের সুপারিশ পর্যালোচনায় নতুন মন্ত্রিসভা কমিটি করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মি দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আজকে মন্ত্রিসভা কমিটির মিটিং করার চিন্তা করেছিলাম, বিগত মন্ত্রিসভায় যারা কমিটির সদস্য ছিলেন তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম। কিন্তু নতুনভাবে আবার সরকার গঠিত হয়েছে তাই আগের কমিটি দিয়ে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে আজকে ওই কমিটির সভা রাখা সম্ভব হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে নতুনভাবে মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করা হবে, এরপর সেটি নতুন মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় আলোচনা হবে। এরপর সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আমাদের একটি বৈঠক আছে। এরপর স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে যত দ্রুত সম্ভব ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন কাজ করব।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত ৩ ডিসেম্বর সংস্কৃতিমন্ত্রীকে প্রধান করে নবম মজুরি বোর্ডের সুপারিশ পর্যালোচনায় মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে শিল্পমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী এবং শ্রমমন্ত্রীকে রাখা হয়। কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালনে রাখা হয় তথ্য মন্ত্রণালয়কে।

২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের মূল বেতন ৭৫ শতাংশ বাড়িয়ে অষ্টম মজুরি কাঠামো ঘোষণা করে সরকার, যা ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর ধরা হয়।

আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে প্রধান করে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি ১৩ সদস্যের নবম মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়।

এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের জন্য মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা ঘোষণা করে সরকার, যা গত ১ মার্চ থেকে কার্যকর ধরা হয়।

নবম মজুরি বোর্ডের প্রধান ও আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হক গত ৪ নভেম্বর সচিবালয়ে তখনকার তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর হাতে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন। মজুরি বোর্ড পাঁচটি শ্রেণিতে ১৫টি বেতনক্রম নির্ধারণে সুপারিশ করেছে, প্রথম তিন গ্রেডে ৮০ শতাংশ এবং শেষের তিন গ্রেডে ৮৫ শতাংশ বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেলেও আরো কিছু ধাপ বাকি আছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি করতে গেলে কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হয়। নতুনভাবে মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করতে হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। ‘আরেকটি বিষয় সাংবাদিক বন্ধুরাই নিয়ে এসেছেন, যেটি আমি মনে করি যৌক্তিক। সেটি হলো ওয়েজবোর্ডে টেলিভিশন সাংবাদিকদের যুক্ত করা। ওয়েজবোর্ড যখন চালু হয় বিটিভি ছাড়া আমাদের দেশে আর কোনো কিছু ছিল না। এখন তো প্রাইভেট টেলিভিশন বিরাট ব্যাপার। সে কারণে টেলিভিশন সাংবাদিকদেরও ওয়েজবোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এই আইন সাংবাদিকদের জন্য নয়, সারা দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য। সাংবাদিকদের মধ্যে এ বিষয় নিয়ে যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে তা দূর করার চেষ্টা করব।’

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকা-ের বিচার প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি, আমি এখনই বলতে পারব না যে কত দিনের মধ্যে এটি শেষ হবে।

বিষয়টি নিয়ে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। এটা সুরাহা করা দরকার।’ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারকে আরো যুগোপযোগী করা হবে বলে জানান তিনি। ডিআরইউ সভাপতি ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close