নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ জানুয়ারি, ২০১৯

ডিজিটাল টোলে রাজস্ব বেড়েছে

বঙ্গবন্ধু সেতুসহ দেশের তিনটি সেতুতে টোল আদায়ের পদ্ধতি ডিজিটাল করায় সেতু খাত থেকে সরকারের আয় বেড়েছে। সেতুর টোল ডিজিটাল করায় টোল আদায়ে স্বচ্ছতা যেমন বেড়েছে, তেমনি টোল আদায়ের পরিমাণও বেড়েছে। হাতে হাতে যখন টোল আদায় করা হতো, তখন প্রতিদিন যে পরিমাণ টোল আদায় করা হতো। ডিজিটাল পদ্ধতির ফলে আগের চেয়ে প্রতিদিন দ্বিগুণ টোল আসছে বলেও জানান সেতু কর্তৃপক্ষ।

সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, হাতে হাতে যখন টোল আদায় করা হতো, তখন বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে প্রতিদিন ৭৫-৮০ লাখ টাকা আসত। এখন গড়ে প্রতিদিন ১ কোটি ৪০ লাখ থেকে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা আসে। মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু থেকে সনাতন পদ্ধতির বাতিল হওয়া পর থেকে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি টাকা টোল আদায় হচ্ছে। আগে এই সেতু থেকে প্রতিদিন দুই লাখ টাকা আসত। বর্তমানে দিনে ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা আসে। কুমিল্লার দাউদকান্দি সেতু থেকে ৪০ লাখ থেকে ৪৫ লাখ টাকা আসত। বর্তমানে ৯৫ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা প্রতিদিন আসছে।

টোল আদায়ে বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১০-১১ সাল থেকে হাতে হাতে টোলের টাকা আদায় করা হয়। কিন্তু এর পরের বছর যখন ডিজিটাল কম্পিউটার সিস্টেম নেটওয়ার্ক (সিএনএস) চালু করা হয়, তখন টোলের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। ২০১৭-১৮ সালে তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়। ২০১০-১১ সালে বার্ষিক টোল আদায়ের পরিমাণ ছিল ২৬৯.১০ কোটি টাকা। কিন্তু ২০১৭-১৮ বর্ষে টোলের পরিমাণ হয় ৫৪৩.৮০ কোটি টাকা। আবার ২০১৮-১৯ বর্ষে প্রথম ছয় মাসে টোল আদায় হয়েছে ২৮৪.৮২ কোটি টাকা। মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর সেতুতে এই সিএনএস পদ্ধতিতে টোল আদায়ের ফলে বিগত পাঁচ বছরে দিগুণ হারে টোল আদায় করতে সক্ষম হয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। সিএনএস পদ্ধতি চালু করার আগের বছর ২০১৩-১৪ বর্ষে এই সেতু থেকে বার্ষিক টোল আদায় হতো ৭.৬৪ কোটি টাকা কিন্তু টোল আদায় ডিজিটাল হওয়ার পর থেকে দিগুণ হারে টোল আদায় সম্ভব হয়েছে। ২০১৭-১৮ বর্ষের টোল আদায়ের পরিমাণ ১৬.৭৭ কোটি টাকা। সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক ও সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ডিজিটাল টোল পদ্ধতি বাস্তবায়ন করায় স্বচ্ছতা তৈরি হয়েছে।

টোলের পরিমাণও বেড়েছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close