একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’র (টিআইবি) রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছে আওয়ামী লীগ। দলটির দাবি, রিপোর্টটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন। গত মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) রিপোর্ট প্রকাশ করে। চট্টগ্রামে নগরীর দেওয়ান বাজারে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এটি বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে একটি প্রতিবেদন। নির্বাচন নিয়ে গবেষণার কথা বলে টিআইবি যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তার সঙ্গে বিএনপির বক্তব্যের কোনো পার্থক্য নেই। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে টিআইবি একটি রিপোর্ট দিয়েছে মাত্র। অন্য কোনো কিছু নয়। মন্ত্রী টিআইবির অতীতে দেওয়া বিভিন্ন রিপোর্ট সম্পর্কে বলেন, বেশিরভাগ রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ত্রুটিপূর্ণ ও একপেশে। টিআইবি সবসময় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা অতীতে দেখেছি, টিআইবি’র গবেষণা প্রকৃতপক্ষে সঠিক নয়। এর আগেও টিআইবি পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। সে প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে বিশ্ব ব্যাংক কানাডার আদালতে মামলা করে হেরে যায়। পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির কল্পকাহিনী সাজানোর জন্য তাদের উচিত ছিল জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সব সাধারণ নির্বাচনের মধ্যে ৩০ ডিসেম্বরের ভোট অপেক্ষাকৃত অনেক শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এ নির্বাচন দেশে-বিদেশে সর্বক্ষেত্রে প্রশংসিত হয়েছে। পর্যবেক্ষণের জন্য যারা এসেছিলেন তারা এ নির্বাচনের প্রশংসা করেছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র বিজয়ী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতৃত্বাধীন জোট ও আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে ৮০০ প্রার্থীকে ৩০০ আসনে মনোয়ন দিয়েছে। বিএনপির এ মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদনে কোনো বক্তব্য নেই। নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের ২২ নেতাকর্মী খুনের বিষয়টিও টিআইবি’র রিপোর্টে আসেনি।

"