হাসান ইমন

  ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯

নির্বাচনের অস্থায়ী ক্যাম্প এখনো সরানো হয়নি

রাজধানীতে পথচারীদের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে

জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে ১৪ দিন। এখন পর্যন্ত ফুটপাতসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা নির্বাচনী অস্থায়ী ক্যাম্প অপসারণ করা হয়নি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন গত শনিবার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিলেও এখনো অনেক জায়গায় রয়ে গেছে এ ধরনের ক্যাম্প। অন্যদিকে, ব্যানার পোস্টারও পুরোপুরি সরানো হয়নি। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এসব ক্যাম্প, ব্যানার ও পোস্টার নিজ উদ্যোগে অপসারণ করতে বারবার বলা হলেও কেউ কথা শুনছে না। বিশেষ করে নির্বাচনী অস্থায়ী ক্যাম্পগুলো এখনো না সরানোর কারণে জনগণের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। পথচারীরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।

জানা গেছে, এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর যত্রতত্র স্থানীয় সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা নির্বাচনী অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এসব ক্যাম্প নিজ উদ্যোগে সরিয়ে ফেলার কথা থাকলেও কেউ তা করছে না। ফলে এর দায়ভার নিতে হচ্ছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে। শুধু তাই নয় নির্বাচনী ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনও এখন নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঝুলছে। জাতীয় নির্বাচনের এসব ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন নিয়ে ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে কোনো ধরনের বাধা বা নিষেধাজ্ঞা ছিল না। তবে নির্বাচন শেষ হওয়ায় নগরীর সৌন্দর্য ফেরাতে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের নিজ উদ্যোগে এসব ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে বলেছেন স্বয়ং ডিএসসিসি মেয়র। কিন্তু এখনো অনেক জায়গায় রয়ে গেছে ক্যাম্পগুলো। অন্যদিকে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীতে কেউ ফুটপাত বা সরকারি খোলা জায়গায় স্থাপনা, পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড ও গেট নির্মাণের আগে সিটি করপোরেশন থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এবার জাতীয় নির্বাচন হওয়ায় সব প্রার্থীর জন্য ক্যাম্প ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন লাগানো অঘোষিতভাবে উন্মুক্ত করে দেয় দুই ডিসিসি। এ সুযোগে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের নেতাকর্মীরা যে যেভাবে পারছে যত্রতত্র ক্যাম্প ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন লাগিয়েছে। কিন্তু এসব নিজের উদ্যোগে অপসারণ করার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্টরা তা করছে না।

সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাতসহ যত্রতত্র গড়ে উঠা নির্বাচনী ক্যাম্পগুলো আগের মতোই রয়ে গেছে। এসব ক্যাম্প স্থাপনের সময় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নির্বাচনের পরপর নিজ উদ্যোগে আবার সরিয়ে ফেলতে। কিন্তু কেউ দুই ডিসিসির কথা রাখেনি। এদিকে, নির্বাচনী ব্যানার পোস্টার রয়েছে গেছে এখনো। এতে রাজধানীর সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে ।

এদিকে, নির্বাচন ছাড়াও বিভিন্ন দিবস ও অনুষ্ঠান উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও গলিপথে এসব ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। সিটি করপোরেশনের কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নামে এসব ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়। এতে হতাশা ব্যক্ত করেছে সিটি কর্তৃপক্ষ। ফলে করপোরেশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতক দলের প্রার্থীদের ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনের বাইরে নগরীর অন্যান্য অবৈধ ব্যানার ফেস্টুন অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্প ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন।

গত শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক অফিসের পাশে রাশেদ খান মেননের (ঢাকা-৮) অস্থায়ী ক্যাম্প অপসারণের মাধ্যমে বিশেষ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।

সাঈদ খোকন বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারের সুবিধার্থে ফুটপাতে অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস করার সুযোগ দিয়েছিলাম। যেহেতু নির্বাচন শেষ তাই প্রার্থীদের সহযোগিতায় ডিএসসিসির সব এলাকা থেকে ক্যাম্প অফিস অপসারণ কার্যক্রম শুরু করছি। আশা করছি, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীর সব অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্প অফিস অপসারণ করে সুন্দর শহর উপহার দিতে পারব, বলেন তিনি। এর আগে নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন মেয়র সাঈদ খোকন। সেই কাজের ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে এখনো যদি কোথাও পোস্টার, ব্যানার থাকে তাহলে আমাদের জানালে সেগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপসারণ করা হবে বলে জানান মেয়র।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close