নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৬ জানুয়ারি, ২০১৯

অস্ত্রোপচারের জন্য হাঙ্গেরিতে রাবেয়া-রোকাইয়া

জোড়া মাথার যমজ শিশু রাবেয়া ও রোকাইয়াকে তৃতীয় দফা অস্ত্রোপচারের জন্য হাঙ্গেরিতে নেয়া হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে তাদের হাঙ্গেরিতে পাঠানো হয়। শিশু দুটির মা-বাবাসহ সাতজনের এক চিকিৎসক দল তাদের সঙ্গে রয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, রাবেয়া ও রোকাইয়ার তৃতীয় দফা অস্ত্রোপচারের জন্য হাঙ্গেরিতে পাঠানো হয়। এর আগে বার্ন ইউনিটে দুটি মেজর অপারেশনেই প্রখ্যাত এক হাঙ্গেরিয়ান নিউরো সার্জন অংশ নিয়েছিলেন। এবার তৃতীয় দফা অস্ত্রোপচার হবে হাঙ্গেরিতে। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তায় তাদের হাঙ্গেরিতে পাঠানো হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত অস্ত্রোপচার দেশেই করা হবে। দুই বছর চার মাস বয়সী রাবেয়া ও রোকাইয়ার জন্ম ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই। তারা পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা গ্রামের শিক্ষক দম্পতি রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা খাতুনের সন্তান। রাবেয়া ও রোকাইয়ার শরীরের পুরো অংশই আলাদা, শুধু মাথা জোড়া লাগানো। সামন্ত লাল সেন জানান, বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির যৌথ উদ্যোগে রাবেয়া-রোকাইয়ার চিকিৎসা হবে। সেখানে হাঙ্গেরি, জার্মানি ও বাংলাদেশের পাঁচটি দলের ২০ সদস্য কাজ করবেন। তিনি জানান, রাবেয়া-রোকাইয়া যখন ভর্তি হয় বাংলাদেশে জার্মানি ও হাঙ্গেরির প্রতিনিধি দল ছিল। তখন থেকেই ওদের চিকিৎসার কার্যক্রম শুরু হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে শিশু দুটির অবস্থা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছানো হয়। তিনি শিশু দুটির চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে ওদের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

দুই বছর সাত মাস বয়সী এ শিশু দুটির বাংলাদেশে এর আগে মস্তিষ্কের রক্তনালিতে দুইবার অস্ত্রোপচার করা হয়। হাঙ্গেরি থেকে ফেরার পর দেশে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ওদের মূল অস্ত্রোপচার হবে। বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, রাবেয়া রোকাইয়ার মস্তিষ্ক আলাদা। কিন্তু ওদের পুরোপুরি আলাদা করার জন্য টিস্যু বাড়াতে হবে। এছাড়া আরো কিছু চিকিৎসার জন্য ওদের হাঙ্গেরি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্বে এ ধরনের চিকিৎসায় সফলতার হার ২০ শতাংশের কম। যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলে জানান তিনি। হাঙ্গেরিতে রাবেয়া-রোকাইয়াকে তিন থেকে চার মাস থাকতে হতে পারে বলে জানানো হয়। সেখানে ‘ফর বাংলাদেশ’ নামে হাঙ্গেরি ভিত্তিক একটি বাংলাদেশি সংগঠন শিশু দুটির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close