আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

কাজ না করায় ২য় শ্রেণির ছাত্রের হাত-পায়ে সুচ ঢুকিয়ে নির্যাতন

বরগুনার তালতলী উপজেলার কলারং গ্রামে কাজ না করায় ১০ বছরের শিশু দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, তালতলী উপজেলা পঁচাকোড়ালিয়া ইউপির কলারং গ্রামের দিনমজুর সাইদুল মিয়ার ছেলে হুলাটানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র পারভেজ তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী শহিদুল মিয়ার বাড়িতে প্রায়ই টিভি দেখতে যেত, গত মঙ্গলবার দুপুরের সময় পারভেজকে (১০) বাড়ি থেকে টিভি দেখার কথা বলে ডেকে আনে শহিদুল। ডেকে আনার পর শহিদুল তার স্ত্রী নাজমা বেগম পারভেজকে দিয়ে বিভিন্ন কাজ করায় এক পর্যায়ে নাজমা ও শহিদুল পারভেজের মাথায় প্রায় ৩০-৩৫ কেজি ওজনের বয়লারের খাবারের বস্তা মাথায় তুলে দেয় বাসা থেকে শহিদুলের মুরগির খামারে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বস্তা তুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পারভেজের মাথা থেকে বস্তা পরে যায়। তখন শহিদুল ও নাজমা বেগম পারভেজকে মারধর করেন। মারধরের এক পর্যায়ে নাজমা পারভেজের হাত ও পায়ে সুচ ঢুকিয়ে দেয়। এতে পারভেজ তাৎক্ষণিক অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ খবর পারভেজের বাড়ি পৌঁছালে বাড়ির লোকজন পারভেজকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী হাসপাতালে বসে সাংবাদিকদের পারভেজ বলেন, আমি বয়লারের খাবারের বস্তা নিতে না পারায় শহিদুল ও নাজমা চাচি মারধর করে হাতে-পায়ে সুচ ঢুকিয়ে দেয় এ কথা বলে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন। পারভেজের বাবা সাইদুল বলেন আমি ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করি এ খবর শুনে ঢাকা থেকে এসেছি। বিষয়টি তালতলী থানার ওসিকেও জানানো হয়েছে। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিনিউটি মেডিকেল কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ হাজরা বলেন, পারভেজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও বুকে প্রচন্ড আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এখন কিছুটা সুস্থ। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শহিদুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন বিষয়টি তো মীমাংসা হওয়ার পথে। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলক চন্দ্র রায় বলেন মৌখিকভাবে শুনেছি, লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close