রিমন পালিত, বান্দরবান

  ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮

বান্দরবানের স্কুল হোস্টেলে ৪ ছাত্রকে নির্যাতন

বান্দরবানের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে হোস্টেলের নবম শ্রেণির চার ছাত্রকে মধ্যযোগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির হোস্টেলে অবস্থানরত ছাত্ররা। গত সোমবার গভীর রাতে ওই কলেজের হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত ছাত্ররা হলো সাইদুল হাসান বিপু, অšত্মর ধর, বায়েজিদ, মেহেদী হাসান হৃদয় ও সাদনান রাজিম ইবান। জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যায় ক্যান্টিনে নাশতা করতে যাওয়ার সময় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সাইদুল ইসলাম ইফতি তার মোবাইল ফোন হোস্টেল ডেক্সে জমা দিয়ে যায়। পরে নাশতা করে আসার সময় ডেক্সে মোবাইল না পেয়ে তাদের আগে হোস্টেলে প্রবেশ করা সাইফুল হাসান বিপু, অšত্মর ধর, বায়েজিদ, মেহেদী হাসান হৃদয়, সাদনান রাজিম ইবানকে মোবাইল ফোনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে। তারা মোবাইল ফোনের বিষয়ে কিছু জানে না এবং হোস্টেলের সিসি ক্যামেরা দেখে মোবাইল ফোন কে বা কারা নিয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য বলে। কিন্তু এতেও সন্তুষ্ট না হয়ে তাদের সন্দেহ করে এবং ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার গভীর রাতে তামীমের নেতৃত্বে জিসফাকুল হায়দার, সাইদুল ইসলাম ইফতি এবং আকিল রাত ১২টার পর ৪০৪ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে সাইদুল হাসান বিপু, অšত্মর ধর, বায়েজিদ, মেহেদী হাসান হৃদয়, সাদনান রাজিম ইবানকে ফ্লোরে বসিয়ে ব্যাল্ট ও রশি দিয়ে বেদম প্রহার করে। এ সময় যাতে চিৎকার করতে না পারে তাদের মুখে কাপড় গুঁজে দেওয়া হয়। রাত ১২ থেকে ৩টা পর্যšত্ম চলে নির্যাতন। শেষে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে সাইদুল হাসান বিপু বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে পরিবারের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষকে জানানো হয়। অধ্যক্ষ অভিযুক্ত তিনজনকে হোস্টেল থেকে বের করে দেয়। তবে এ ঘটনার পর থেকে অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড হোস্টেলের সুপার আশরাফ কবির বলেন, অভিযুক্ত ছাত্রদের হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে সেদিকে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখব।

নির্যাতিত ছাত্র সাইফুল হাসান বিপুর অভিভাবক রিফাত আলাউদ্দিন জানান, আমরা খুবই শঙ্কিত। এভাবে বর্বর নির্যাতন আমরা মেনে নেব না। এটা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এদের শুধু হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়া নয়, এদের দৃষ্টাšত্মমূলক শা¯িত্ম হওয়া দরকার। যাতে তারা এ ধরনের ঘটনা আর করতে সাহস না পায়। কর্তৃপক্ষ যদি দোষীদের বিরাুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হব।

এ বিষয়ে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, ছাত্ররা একজন আরেকজনকে প্রহার করবে, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি ওই ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তারা এইচএসসি পরীক্ষার্থী হওয়ায় তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close