চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
দামুড়হুদায় শিশুকন্যা ধর্ষণের অভিযোগে পিতা আটক
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীন পাড়ায় নিজের ১২ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে লম্পট পিতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই শিশুটি এখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
গত শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত লম্পট পিতা আজাদ হোসেনকে (৪২) গ্রেফতার করেছে। সে দামুড়হুদা উপজেলার হরিশচন্দ্রপুর নতুন গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। এ ঘটনায় স্ত্রী রশিদা বেগম বাদী হয়ে লম্পট স্বামীর নামে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, লম্পট আজাদ প্রায় বছর ১৫ আগে নিজ গ্রাম থেকে এসে কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীন পাড়ায় বসবাস শুরু করে। তাদের সংসারে রয়েছে ৩ মেয়ে। সে পেশায় দিনমজুর। স্ত্রী রশিদা বেগম কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করেন। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। মেজ মেয়ে বাড়িতেই ঘর গোছালির কাজ করে। প্রায় মাস চারেক আগে আজাদ তার মেজ মেয়েকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি লোকলজ্জার ভয়ে না জানালেও মেয়ের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে উত্তেজিত এলাকাবাসী শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে লম্পট পিতা আজাদকে গণধোলায় দেওয়ার প্রস্তুতি নেয় এবং তার বাড়ি ঘেরাও করে। খবর পেয়ে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আসাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আজাদকে আটক করেন। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) আবু রাসেল এবং দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে লম্পট পিতা ধর্ষণের কথা স্বীকার করলে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নেওয়া হয়।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে লম্পট স্বামীর নামে মামলা করেছেন। মেয়েকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মেয়ে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, একটি মেয়ের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় হচ্ছে তার পিতা। আর সেই পিতার কাছেই সে নিরাপত্তা না পায়, তাহলে সেই পিতার ফাঁসি হওয়া উচিত।
"