নিজস্ব প্রতিবেদক
গণসংহতির সংবাদ সম্মেলন
সংবিধানের মধ্য থেকেই সংশোধন সম্ভব : সাকি
সরকারি দলের সঙ্গে বিরোধীদলগুলোর সংলাপে অসাংবিধানিক বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। বরং সংবিধানের মধ্যে থেকে সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনের উপযোগী সরকার গঠন করা সম্ভব বলে মনে করে গণসংহতি আন্দোলন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার হাতিরপুলের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়েছে। এতে জানানো হয়, সরকারি দলের পক্ষ থেকে গণসংহতিকে সংলাপে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিষয়টি তারা সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন।
সংবাদ সম্মেলনে গণসংহতির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, সংলাপের আলোচনার বিষয়বস্তু সংবিধানের মধ্যেই থাকতে হবে। তাদের এই বক্তব্যের অর্থ আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। আমরা চাই অর্থবহ ও কার্যকর সংলাপ এবং সেটা সংবিধানের মধ্য থেকে করা সম্ভব। সংবিধানের মধ্যে থেকে সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব এবং নির্বাচনের আগে সেই সুযোগ আছে।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমানে যে ক্ষমতা কাঠামো, তা স্বৈরতান্ত্রিক। এই কাঠামোতে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। গণসংহতি চায়, নির্বাচন নিরপেক্ষ রাজনৈতিক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। আর সেটা করতে হলে নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে হবে। সংসদ ও মন্ত্রিসভা ভেঙে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পড়েন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ। এতে বলা হয়েছে, সব দলের দাবি উপেক্ষা করে সরকার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার ব্যাপারে অনড়। কিন্তু মানুষ মনে করে, ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন, সংসদ ও মন্ত্রিসভা টিকিয়ে রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সরকার এই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে না পারে, এজন্য সংবিধানে সংশোধনী আনতে হবে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিকারী হবেন না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান, পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া প্রমুখ।
"