খুলনা ব্যুরো

  ২৮ অক্টোবর, ২০১৮

ভোটারের স্বার্থ রক্ষার জন্যই ইভিএম : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ভোটের মর্যাদা, ভোট ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, ভোট প্রদানের স্থায়ী সমাধান এবং ভোটারের স্বার্থরক্ষার জন্যই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এতে ভোটের রাতে কেন্দ্র ও ব্যালট বাক্স পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। একই সঙ্গে এ পদ্ধতিতে ব্যালট পেপার ছিনতাই, রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি এবং একজনের ভোট অন্যজনে দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। তবে আইনগত ভিত্তি এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই কেবলমাত্র ইভিএম ব্যবহার করা হবে। গতকাল শনিবার খুলনায় ইভিএম প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিইসি বলেন, সরকার, জেলা-উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন এবং ইউনিয়ন পরিষদসহ সব জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রতিনিধি গঠনের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে জনগণ। জনগণের ভোট নিয়েই জনপ্রতিনিধিরা এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় নির্বাচনের শুরু থেকেই নানা অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়।

বিশেষ করে ব্যালট পেপার ছিনতাই, রাতেই ব্যালটে সিল মেরে বাক্সভর্তি এবং একজনের ভোট অন্যজনে দিয়ে দেয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি কেসিসির সর্বশেষ নির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রে উল্লিখিত অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ইভিএমে ভোট হলে এ ধরনের অনিয়মের সুযোগই থাকবে না। উপরন্তু নির্বাচনী ব্যয় এবং লোকবলের তিন ভাগের দুই ভাগের প্রয়োজনীয়তাই কমে যাবে। মূলত জনপ্রতিনিধিদের ভোটারের ওপরে নির্ভরশীল করতেই ইভিএম পদ্ধতি চালু করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার প্রসঙ্গ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, যারা ইভিএমের বিরোধিতা করছেন, তারা আসলে ইভিএম সম্পর্কে না জেনেই করছেন। তিনি তাদের ইভিএম সম্পর্কে ভালো করে জেনে শুনে ধারণা নেওয়ার অনুরোধ করেন। তবে সংশ্লিষ্টরা ইভিএমের ত্রুটি বা গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে কোনো পরামর্শ দিলে সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৩০ অক্টোবর থেকে কাউন্টডাউন শুরু হবে। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সেক্ষেত্রে নভেম্বরে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন এবং নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবেন তিনি। জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, বিগত দিনে মোতায়েন করা হয়েছে। সেটি মাথায় রেখেই নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ বা অন্যকোনো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আর আলোচনার সুযোগ নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. লোকমান হোসেন মিয়া, রেঞ্জ ডিআইজি মো. দিদার আহম্মদ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী। ইভিএম সম্পর্কিত বিশেষ উপস্থাপনা করেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র মেনটেইন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।

অনুষ্ঠান শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইভিএম প্রদর্শনী স্টল ঘুরে দেখেন। ইভিএম প্রদর্শনীতে নগরীর ২টি ওয়ার্ডের চারটি এলাকার ৭ হাজার ৩৯ জন ভোটার ইভিএমে ভোট দিতে পারবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close