পটুয়াখালী ও কলাপাড়া প্রতিনিধি

  ২৭ অক্টোবর, ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী কলাপাড়ায় যাচ্ছেন আজ

উদ্বোধন করবেন ‘স্বপ্নের ঠিকানা’

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ১৩০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার অবশেষে পাচ্ছে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’। পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভূমি অধিগ্রহণের ফলে জমিসহ বসতভিটা হারানো ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের দীর্ঘদিনের কষ্টের অবসান হতে যাচ্ছে। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এসব পরিবারের হাতে আধুনিক উপশহর স্বপ্নের ঠিকানার চাবি তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে মহাসড়ক থেকে গ্রামীণ জনপদের সর্বত্র শোভা পাচ্ছে রং-বেরঙের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন। এতে তুলে ধরা হয়েছে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র। সড়কে সড়কে নির্মিত হয়েছে মনকাড়া সুদৃশ্য অনেক তোরণ। পটুয়াখালী পুলিশ

সুপার মাইনুল হাসান জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে সব নিরাপত্তার প্রস্তুতি সম্পন্ন। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালীর ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের নামফলক উন্মোচন ছাড়াও ৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় স্বপ্নের ঠিকানায় একটি সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। পরে বিকেলে বরগুনার তালতলী উপজেলায় আওয়মী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন।

কলাপাড়ার নিশানবাড়িয়ায় পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এক হাজার একর ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ১৩০টি পরিবার হারায় বসতভিটা। ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের পুনর্বাসনে প্লান্টের পাশেই ১৬.২২ একর জমির ওপড় গড়ে তোলা হয়েছে একটি আধুনিক উপশহর। দুটি ডিজাইনে সেমিপাকা এল টাইপে নির্মিত ১৩০টি ঘরে রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগসহ বাথরুম, একটি মাস্টার বেডরুম, দুটি বেডরুম, ডাইনিংরুম, রান্নাঘর ও কমন বাথরুম। নিরাপদ পানির জন্য ৪৮টি গভীর নলকূপ। পাকা ঘাট ও বসার বেঞ্চিসহ দুটি পুকুর। সবজি চাষ, গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি পালনের জন্য প্রতিটি ঘরের সামনেই রয়েছে প্রশস্থ মাঠ। আধুনিক দ্বিতল মসজিদ, কমিউনিটি সেন্টার, ক্লিনিক, খেলার মাঠ, শপিং সেন্টার, ঈদগা মাঠ, নির্দিষ্ট কবরস্থান ও স্কুল ভবন। যেখানে টেকনিক্যাল শাখার অগ্রাধিকার থাকছে। ১৬ কিমি পানি নিষ্কাশন ড্রেনসহ ১২ ফুট প্রস্থ সড়ক।

২০১৬ সালে জমি অধিগ্রহণের পর থেকেই বেড়িবাঁধের সেøাপে মানবেতর জীবনযাপনকারী এসব পরিবার এখন পুনর্বাসন পল্লীতে বসবাসের স্বপ্নে বিভোর। কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে দশমিক তিন পয়সা ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। প্রকল্প নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনডিইর প্রকৌশলী আবদুর রশিদ বলেন, স্বপ্নের ঠিকানা ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এ প্রকল্পটি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করবেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পটুয়াখালী সরকারি কলেজে নবনির্মিত ১৩২ আসনের পাঁচতলা ছাত্রীনিবাস নির্মাণ। পটুয়াখালী সরকারি কলেজে নবনির্মিত একাডেমিক কাম-এক্সামিনেশন হল নির্মাণ। হাজী আক্কেল আলী হাওলাদার কলেজে চারতলার নবমির্মিত একাডেমিক ভবন নির্মাণ। ইসহাক মডেল ডিগ্রি কলেজে চারতলার নবমির্মিত একাডেমিক ভবন নির্মাণ। কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজে চারতলার নবমির্মিত একাডেমিক ভবন নির্মাণ। মুুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজে চারতলার নবমির্মিত একাডেমিক ভবন নির্মাণ। আলহাজ জালাল উদ্দিন কলেজে চারতলার নবমির্মিত একাডেমিক ভবন নির্মাণ। সুবিদখালী ডিগ্রি কলেজে চারতলার নবমির্মিত একাডেমিক ভবন নির্মাণ। দুমকি জনতা ডিগ্রি কলেজে চারতলার নবমির্মিত একাডেমিক ভবন নির্মাণ। দুমকি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন। মির্জাগঞ্জ ৩৩/১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, কলাপাড়া উপজেলার কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ। মির্জাগঞ্জা উপজেলার কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close