সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থাগুলোতে নিয়োজিত সাংবাদিক-কর্মচারীদের জন্য মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ হারে অন্তর্র্বর্তীকালীন মহার্ঘ ভাতা সুবিধা ঘোষণা করেছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার তথ্য মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বলে প্রতিদিনের সংবাদকে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তথ্য মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের পেশ করা অন্তর্র্বর্তীকালীন প্রতিবেদন পরীক্ষান্তে সরকার সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থাগুলোতে নিয়োজিত সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক ও সাধারণ কর্মচারীদের জন্য মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ হারে অন্তর্র্বর্তীকালীন মহার্ঘ ভাতা সুবিধা ঘোষণা করেছে।

২০১৮ সালের ১ মার্চ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে। এ মহার্ঘ ভাতা পরবর্তীতে বোর্ডের নির্ধারিত সামগ্রিক বেতন কাঠামোর সঙ্গে সমন্বিত করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংবাদকর্মীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটা ওয়াদা রক্ষা করা গেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে ফাইল সই করেছেন। এরপরই দ্রুত তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো। অল্প সময়ের মধ্যে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করতে পারলাম, এজন্য আমরাও খুশি।’

তথ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দিতে বর্তমানে সরকারের সময়ে কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসচ্ছল এবং অসুস্থ সাংবাদিকদের সহযোগিতা দেবেন। প্রসঙ্গত, সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের জন্য গত ২৯ জানুয়ারি নবম মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়। ১৩ সদস্যের এ বোর্ডে চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হক। এ ছাড়া সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ এবং সাংবাদিক ও সংবাদপত্র কর্মচারী বা শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সমসংখ্যক প্রতিনিধিও রয়েছে ওয়েজ বোর্ডে। সরকারের কাছে সুপারিশ দিতে বোর্ডকে ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। ২৮ জুলাই সেই সময় শেষ হয়। পরে নবম মজুরি বোর্ডের মেয়াদ আরো তিন মাস বাড়ানো হয়। এর আগে ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সংবাদপত্রকর্মীদের বেতন-ভাতা ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে অষ্টম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ-২০১৩ গেজেট প্রকাশ করে তথ্য মন্ত্রণালয়।

"