নিজস্ব প্রতিবেদক

  ৩১ আগস্ট, ২০১৮

উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

ড্রিমলাইনার আকাশবীণার প্রথম ফ্লাইট ৫ সেপ্টেম্বর

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম বোয়িং ৭৮৭-ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’। ওইদিন দুপুর ১২টায় ‘আকাশবীণার’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই দিন রাতে ঢাকা-কুয়ালালামপুরে প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট যাত্রা করবে ড্রিমলাইনার।

এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে প্রভিং ফ্লাইট। গত বুধবার ড্রিমলাইনারের প্রথম পরীক্ষামূলক (প্রভিং) ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। এ দিন দুপুরে ফ্লাইটটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করে। বিমানের সিনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল আহমেদ ও বোয়িং-এর ক্যাপ্টেন ডেনটন ফ্লাইটটি পরিচালনা করেন। সেই ফ্লাইটে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কর্মকর্তাসহ ২৬ জন ছিলেন। বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে কলকাতা থেকে ফের শাহজালালে অবতরণ করে ফ্লাইটটি।

এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, সফলভাবে পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। কোনো ধরনের সমস্যা পাওয়া যায়নি। ৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। একই দিনে রাতে ঢাকা-কুয়ালালামপুরে প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট যাত্রা করবে। ড্রিমলাইনার দিয়ে প্রাথমিকভাবে ঢাকা-সিঙ্গাপুর ও ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। ট্যাক্স ও চার্জ বাদে ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা রুটে ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া ২০০ মার্কিন ডলার এবং ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া ২৯০ মার্কিন ডলার।

গত ১৯ আগস্ট দেশে আসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম বোয়িংয়ের তৈরি ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান। এর মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫টি। টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এই ড্রিমলাইনার চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগবে। ‘আকাশবীণায়’ আসন সংখ্যা ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। প্রতিটি আসনের সামনে প্যানাসনিকের এলইডি এস-মনিটর রয়েছে। একইসঙ্গে ড্রিমলাইনারের ইন-ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেমে (আইএফই) থাকবে ১০০টির বেশি ক্লাসিক থেকে ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র। অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ও ওয়াইফাই সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। বিমানে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে প্রত্যেক যাত্রী ১৫ মিনিটের জন্য বিনামূল্যে ১০ মেগাবাইট ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এরপরও কোনো যাত্রী ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে চার্জ দিতে হবে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে রোমিং সুবিধা থাকলে আকাশে উড্ডয়নের সময় কল করতে পারবেন যাত্রীরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close