ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) পৃথিবীর বাসযোগ্য শহরের তালিকায় দুই ধাপ অবনমন ঘটেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার; বিশ্বের ১৪০টি শহর নিয়ে করা এ তালিকায় ঢাকার অবস্থান এবার ১৩৯তম। অর্থাৎ ওই জরিপ প্রতিবেদনে রাজধানী ঢাকা বিশ্বের বসবাসের অনুপযুক্ত শহরগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বসবাসের অনুপযোগী শহরের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাইজেরিয়ার লাগোস, চতুর্থ স্থানে পাকিস্তানে করাচি এবং পঞ্চম স্থানে পাপুয়া নিউ গিনির শহর পোর্ট মোরেসবি। এই তালিকায় আরো রয়েছে, সেনেগালের ডাকার, আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স, ক্যামেরুনের ডউয়ালা, লিবিয়ার ত্রিপোলি ও জিম্বাবুয়ের হারারে। দ্য ইকোনমিস্ট জানায়, তালিকার নিচের দিকে স্থান পাওয়া শহরগুলোর স্কোর শক্তিশালীভাবে প্রভাবিত করেছে অপরাধ, গণবিক্ষোভ, সন্ত্রাসবাদ ও যুদ্ধ। ইকোনমিস্টের জরিপে এবারই প্রথম ইউরোপের কোনো বসবাসের সবচেয়ে উপযুক্ত শহর হিসেবে প্রথম স্থান দখল করেছে। অস্ট্রেলিয়ার মেলবর্নকে হটিয়ে এবার প্রথম স্থানে রয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা।

স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামোসহ ৩০টি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে প্রতিটি শহরের বাসযোগ্যতা নিরূপণের চেষ্টা করা হয় ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের এই বার্ষিক সমীক্ষায়।

২০১৮ সালে বসবাসের উপযুক্ত অন্যান্য শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবর্ন (দ্বিতীয়), জাপানের ওসাকা (তৃতীয়), কানাডার কালগারি (চতুর্থ), অস্ট্রেলিয়ার সিডনি (পঞ্চম), কানাডার ভ্যানকুবার (ষষ্ঠ), জাপানের টোকিও (সপ্তম), কানাডার টরেন্টো (অষ্টম), ডেনমার্কের কোপেনহেগেন (নবম) এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেইড (দশম)। ইকোনমিস্টের জরিপে বসবাসের উপযুক্ত শহরগুলো শীর্ষ দশটি শহরের তালিকায় নেই যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়ার কোনো শহর।

গত বছরের প্রতিবেদনে ৩৮ দশমিক ৭ স্কোর নিয়ে ১৪০টি দেশের মধ্যে ঢাকা ১৩৭ নম্বর অবস্থানে ছিল। স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশের স্কোর ২৯ দশমিক ২, যা দামেস্কের সমান। অস্ট্রিয়ার রাজধানীর স্কোর গতবারের ৯৭ দশমকি ৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৯ দশমিক ১। সংস্কৃতি ও পরিবেশ সূচকে পশ্চিম ইউরোপের এই শহরের স্কোর ৯৬ দশমিক ৩, বাকি সবগুলোকে ১০০ তে ১০০। এক কানাডারই তিন শহর ক্যালগেরি ভ্যাঙ্কুভার ও টরন্টো রয়েছে তালিকার ৪, ৬ ও ৭ নম্বরে।

"