নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৫ আগস্ট, ২০১৮

আয়-ব্যয় দুটোই বেড়েছে ক্ষমতাসীন আ.লীগের

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পুরনো পুঞ্জিকা বছরের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে। দলটির একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র কমিশন সচিব মো. হেলালুদ্দীনের কাছে তাদের হিসাব হস্তান্তর করেন। এ হিসাবে দেখা যায়, দলটির আয়-ব্যয় দুটিই বেড়েছে যার মধ্যে ২০১৭ সালে দলটির আয় হয়েছে ২০ কোটি ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৬ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৯ টাকা। ফলে বর্তমানে ক্ষমতাসীন এ দলটির তহবিলে উদ্বৃত্ত রয়েছে ৬ কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার ১১৭ টাকা।

উল্লেখ্য, টানা দুই মেয়াদে সরকার পরিচালনায় রয়েছে প্রবীণ এই রাজনৈতিক দলটি। নবম জাতীয় সংসদের পর দশম সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দলের বার্ষিক হিসাব জমা দিতে যান দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুর সবুর।

এরপর দলের আয় ও ব্যয়ের খাতের ব্যাপারে আবদুস সোবহান গোলাপ সাংবাদিকদের বলেন, আয়ের প্রধান উৎসের মধ্যে রয়েছে দলের নতুন ভবন নির্মাণের অনুদান, দলের সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া বার্ষিক চাঁদা, ব্যাংকের টাকা থেকে লাভ ইত্যাদি। আর ব্যয়ের প্রধান খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে দলের ভবন নির্মাণ, কর্মচারীদের বেতন-বোনাস, আপ্যায়ন, সভা-সেমিনার, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি।

আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ জানান, নতুন ভবন নির্মাণে প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো অনুদান পাওয়া গেছে এবং সমপরিমাণ অর্থ সেখানে তারা ব্যয় করেছে।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের আয় হয়েছিল ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৯ টাকা। উদ্বৃত্ত রয়েছে ১ কোটি ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৯ টাকা। ২০১৫ সালে দলটির আয় হয়েছিল ৭ কোটি ১১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৫ টাকা। ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৭২ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৯ টাকা। অর্থাৎ সে সময় দলটি প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত দেখিয়েছিল।

ইসিতে জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বিএনপির মোট আয় হয়েছে ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা। মোট ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা। উদ্বৃত্ত হিসেবে ৫ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৮ টাকা হাতে বা ব্যাংকে রয়েছে।

এদিকে, এবার জাতীয় পার্টির (জাপা) আয় বেড়েছে। ২০১৭ সালে দলটি আয় করেছে ১ কোটি ৮ লাখ ৫৫ হাজার ২৪০ টাকা। এ সময় দলটি ব্যয় করেছে ১ কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ টাকা। এক লাখ টাকারও বেশি উদ্বৃত্ত রয়েছে জাতীয় পার্টির।

২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতি বছর আর্থিক লেনদেনের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর। প্রতি বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পূর্ববর্তী বছরের হিসাব দেওয়ার বিধান রয়েছে। আওয়ামী লীগসহ সাতটি দল সময় মতো হিসাব দিতে না পারায় ইসিতে আবেদন করে ১৫ দিন সময় বাড়িয়ে নেয়।

প্রসঙ্গত, কোনো দল পরপর তিন বছর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে ইসি চাইলে তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close