নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ আগস্ট, ২০১৮

ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ পেল ৮ পরিবার

নেপালে ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের আট পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কাছে চেক হস্তান্তর করা হয়। ক্ষতিপূরণ পাওয়া পরিবারগুলো হলোÑ নিহত ফার্স্ট অফিসার পৃথুলা রশিদ, সাংবাদিক ফয়সাল আহমেদ, এস এম মাহমুদুর রহমান, মতিউর রহমান, নুরুজ্জামান বাবু, কে এইচ এম শাফি ও এফ এইচ প্রিয়কের পরিবার। আহতদের মধ্যে শেখ রাশেদ রুবায়েতকে ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর করা হয়। চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিক শামিম বলেন, প্রত্যেক নিহত যাত্রীর ক্ষেত্রে নূন্যতম ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার ডলারের সমপরিমাণ অর্থ, আহত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ নিরূপণ করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির ওপর নির্ভর করে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশি নিহত যাত্রীরা ৫০ হাজার ডলার, বিদেশি নিহত যাত্রী ৫০ হাজার ডলার, লাগেজ বাবদ যাত্রীপ্রতি এক হাজার ২০০ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আহত যাত্রীরা কম-বেশি এক লাখ ডলার হারে ক্ষতিপূরণ পাবেন। আহতদের ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনা করে এটি নির্ধারিত হবে।

অন্য যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে শফিক শামিম বলেন, আদালতের মাধ্যমে নিহতদের উত্তরাধিকার নিরূপণ করা হয়। এরপর আদালতের রায় অনুসারে উত্তরাধিকারদের মধ্যে চেক হস্তান্তর করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে যাদের উত্তরাধিকার নিয়ে জটিলতা শেষ হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলো। বাকিদের শেষ হলে তাদেরও দেওয়া হবে।

শফিক শামিম জানান, সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড বিগত তিন বছর ধরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বীমাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। মোট ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ ও তা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সঠিকভাবে বিতরণের লক্ষ্যে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আহত ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারদের বীমার অর্থ দেওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিয়ম-কানুন, যেমন- ইন্টারন্যাশনাল এভিয়েশন ট্রিয়েটিস কনভেনশন, বাংলাদেশ ও নেপালের সংশ্লিষ্ট কেস ল’ ইত্যাদি বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক সার্ভে প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ অনুযায়ী প্রত্যেক নিহত যাত্রীর জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

গত ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ড্যাশ-৮ কিউ ৮০০ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে চারজন ক্রু ও ৬৭ যাত্রীসহ ৭১ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে চারজন ক্রুসহ ২৭ জন বাংলাদেশি, ২৩ জন নেপালি ও একজন চীনা যাত্রী নিহত হন। আহত হন নয়জন বাংলাদেশি, ১০ জন নেপালি ও একজন মালদ্বীপের নাগরিক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist