পাবনার বেড়ায় ঘুমন্ত মা, ছোট ভাই ও খালাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার দুই দিন পর গত শুক্রবার রাতে খুলনার ফুলতলা থানার বেজেরডাঙ্গা গ্রাম থেকে প্রধান আসামি তুহিনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই তিন খুনের সঙ্গে জড়িত বলে গতকাল শনিবার তুহিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বেড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়া মোহাম্মদ আশিষ বিন হাসান গতকাল শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গত শুক্রবার ভোর রাতে খুলনা জেলার ফুলতলার ফেরদৌস মেম্বারের বাড়ি হতে মা, ছোট ভাই ও খালাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার মূল আসামি ঘাতক তুহিনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সে পুলিশের কাছে তিন খুনের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। আসামি তুহিন জানিয়েছে, তার স্ত্রী রুনা খাতুনকে বাড়ির লোকজন আজেবাজে কথা বলায় প্রথমে খালা মরিয়ম ওরফে নসিমনকে ডেকে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৩টায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাসহ বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তুহিনের মা বুলি খাতুন ও ছোট ভাই তুষার নসিমনকে বাঁচাতে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় তুহিনের স্ত্রী রুনাকে জিঞ্জাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নে সোনাপদ্মা চারা বটতলা গ্রামের মো. মিঠু মিয়ার ছেলে তুহিন একটি ধারালো চাপাতি নিয়ে বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা তার ছোট ভাই তুষার, মা বুলি খাতুন, খালা নসিমন খাতুনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় বুলবুলির ছোট ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে বেড়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

"