রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় সিদ্দিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী নূরুনাহার বেগমকে (৩৫) হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। নূরুনাহারকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত সোমবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার সকালে নূরুনাহার বলেন, পুঠিয়া উপজেলার সিদ্দিকের সঙ্গে ২২ বছর আগে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আমার গরিব বাবা ১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তার পরে সংসারজীবনে অনেক টাকা আমি বাবার কাছে থেকে বিভিন্ন বায়না ধরে আদায় করে নিয়েছি। কিন্তু দিনের পর দিন সে (স্বামী সিদ্দিক) টাকা অন্য এক নারীর কাছে নষ্ট করে আসছে। আমার সংসারে একটি ছেলেসন্তানেরও জন্ম হয়েছে। তার পরও সে অন্য নারীর প্রেমে পড়ে আমাকে দিনের পর দিন নির্যাতন চালিয়ে আসছে। আমি কোনোভাবে তার বাড়ি থেকে না যাওয়ায়। সে এখন আমার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে বসে। আমার গরিব বাবার পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। আমার বাবা ও মা এখন অন্যের ওপর নির্ভশীল হয়ে জীবনযাপন করেন। আমি ২ লাখ টাকা নিয়ে আসতে অস্বীকার করলে সে গভীর রাতে আমাকে মারপিট শুরু করে এবং তার নির্যাতনের আঘাত সইতে না পারায় মাটিতে পড়ে গেলে স্বামী সিদ্দিক গোলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যার জন্য আমাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়। পরে সে ঘরে দরজার লাগিয়ে জানালা দিয়ে বাড়ির বাহিরে চয়ে যায়। কিন্তু আমি রশি ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যাই। তারপর আমার আত্মচিৎকারে বাড়ির আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং আমাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

"