আদালত প্রতিবেদক
যৌতুকের জন্য হত্যায় স্বামীসহ ৬ জনের ফাঁসি
ঢাকার ধামরাইয়ে যৌতুকের জন্য কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে এক গৃহবধূকে হত্যায় স্বামীসহ ছয়জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শরীফ উদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিদের মধ্যে শুধু নিহত সামিনার (১৮) স্বামী জাফর আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- আবদুুর রহিম, জাহাঙ্গীর, খালেক, ফ্যালা মিয়া ও রোকেয়া। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে বলে এই ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর শহীদউদ্দিন জানিয়েছেন। ২০০৫ সালের ৭ জুন সামিনাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। মামলার নথিপত্র বলছে, সামিনার সঙ্গে জাফরের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। যৌতুক দেওয়ার কথা ছিল ১৬ হাজার টাকা। সামিনার বাবা জুরা মিয়া জাফরকে বিয়ের সময় ছয় হাজার টাকা যৌতুক পরিশোধ করেন। রায়ে বলা হয়, বিয়ের পর থেকে জাফর সামিনাকে যৌতুকের ১০ হাজার টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। যেদিন সামিনার গায়ে আগুন দেওয়া হয়, এর তিন দিন আগে থেকে তাকে খাবার দেওয়া হতো না। ঘটনার দিন সামিনা ধামরাইয়ে জাফরের বোন রোকেয়ার বাসায় যান। সেখানে অবস্থান করছিলেন জাফর। একপর্যায়ে সামিনাকে রোকেয়ার ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এরপর জাফর, রোকেয়া ও রহিম সামিনার গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেদিন তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর আগে সামিনার জবানবন্দি নেওয়া হয়। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন।
"