সংসদ প্রতিবেদক

  ২৫ জুন, ২০১৮

সংসদে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

চিংড়ি রফতানি করে আয় হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা

গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সাদা সোনাখ্যাত চিংড়ি মাছ বিদেশে রফতানি করে বাংলাদেশ সরকারের আয় হয়েছে ৩ হাজার ৬৮২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এই পরিমাণ অর্থ আহরণের জন্য দেশ থেকে চিংড়ি রফতানি করতে হয়েছে ৩৯ হাজার ৭০৬ মেট্রিন টন।

গতকাল রোববার ঝালকাঠি-১ সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত এমপি বজলুল হক হারুণের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ সংসদকে এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকালে এ অধিবেশন শুরু হয়।

আর এমপি মাহফুজুর রহমানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে প্রায় ৩ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৬৩ হাজার ৭৩৪ মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রফতানি করা হয়েছে। মন্ত্রী আরো বলেন, বিদেশে থেকে চলতি অর্থবছরে ওই সময় পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রায় ২১৫ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৪২ হাজার ৭১১ মেট্রিক টন মৎস্য আমদানি করেছে। সরকারি দলের আনোয়ারুল আজীমের (আনার) অপর এক প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, মৎস্যসম্পদ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়াধীন মৎস্য অধিদফতর এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়াধীন মৎস্য অধিদফতরের আওতায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মেরিন-ফিশারিজ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রকল্প নিয়েছে। গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলায় মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, মানসম্মত মৎস্য বীজ ও পোনা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য স্থাপনা পুনর্বাসন ও উন্নয়ন প্রকল্প, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট ইন বাংলাদেশ, স্বাদু পানির চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্প (২য় পর্যায়), রংপুর বিভাগে মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প, বৃহত্তর যশোর জেলায় মৎস্য চাষ উন্নয়ন প্রকল্প, ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প (২য় পর্যায়), বৃহত্তর কুমিল্লা জেলায় মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প ও জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ১৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নে চলতি অর্থবছরে ৩৪৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। তিনি বলেন, মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

ক্ষমতাসীন দলীয় এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে দেশের ইলিশসহ মাছের বংশ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়িত হচ্ছে। কারণ ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির অন্যতম কৌশল হচ্ছে জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষা। প্রতি বছর আশ্বিন মাসের প্রথম উদিত পূর্ণিমার দিনসহ আগের ৪ দিন ও পরের ১৭ দিনসহ ২২ দিন উপকূলীয় এলাকাসহ দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, বিক্রয় ও মজুদ নিষিদ্ধ রয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের সামুদ্রিক এলাকায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণের জন্য প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে সব বাণিজ্যিক ট্রলার দ্বারা মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist