নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্যবসায়ী হত্যায় ২ শুটার গ্রেফতার
শুটার নুরার জবানবন্দি
রাজধানীতে দুই ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বনানীতে জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এম এস মুন্সী ওভারসিসের মালিক সিদ্দিক হোসেন (৫৫) হত্যার ঘটনায় শুটার নুরা এবং বাড্ডায় মাছ বাজারে আবুল বাশার বাদশা হত্যাকা-ের মূল হোতা সবুজকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি গোলাম সাকলাইন জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে বাড্ডা এলাকা থেকে শুটার নুরা ওরফে পিচ্চি নুরাকে গ্রেফতার করা হয়। একই সময়ে বাড্ডায় বাদশা হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. আহাদুজ্জামান ওরফে সবুজকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার নুর আমিন ওরফে পিচ্চি নুরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। নুরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম সাকলাইন সিথিল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের ১৪ নভেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে বনানী বি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ১১৩ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এম এস মুন্সী ওভারসিসে এজেন্সি মালিক সিদ্দিক হোসেন খুন হন। এ ঘটনায় আহতরা হলেন মোস্তাক হোসেন, মোখলেছুর রহমান ও মিরাজ পারভেজ। পরে এই ঘটনায় বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। মামলটি বর্তমানে ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে।
অপরদিকে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাড্ডা মাছ বাজারে বাঁশপট্টির কাছে জনৈক বাদশাহ জনসম্মুখে গুলিবিদ্ধ হয়ে নৃশংসভাবে খুন হন। টাকা পয়সা লেনদেন ও প্রতিপত্তি বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকা- ঘটে। ঘটনার সময়ই জনতার সহায়তায় পুলিশ শীর্ষ সন্ত্রাসী নূরীকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। পরে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গেলে নূরী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। নূরী ছাড়াও এ ঘটনায় আরো ৫/৬ জন অংশ নিয়েছিল। হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণকারী আরিফকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
"