আর এক সপ্তাহ পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই ঈদে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ঘরে ফিরবে মাদারীপুর জেলার কাঁঠালবাড়ী ঘাট দিয়েই। ঈদকে সামনে রেখে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি। এর পাশাপাশি বাড়তি চাপ নিরসনের জন্য পাঁচ দিন আগে থেকেই চালু করা হচ্ছে পুরাতন কাওড়াকান্দি ঘাটটিও।

জানা যায়, ঘাট এলাকায় যানজট নিরসনে দূরপাল্লা ও লোকাল বাস এবং মাইক্রোবাসের জন্য থাকছে ঘাটে প্রবেশের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র সম্বলিত স্টিকার। নিয়মিত চলাচলকারী ফিটনেসসমৃদ্ধ পরিবহনকেই ঘাটে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এ ছাড়া অ্যাপ্রোচ সড়ক থেকে ঘাটে প্রবেশের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত প্রায় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো অবৈধ যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানা গেছে।

এদিকে, যাত্রীদের বাড়তি চাপ নিয়ন্ত্রণে ও ঘাট এলাকায় যাতে যানজটের সৃষ্টি হয়ে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার না হয়, সেদিক বিবেচনা করে পুরাতন কাওড়াকান্দি ঘাটটিও চালু করা হচ্ছে। ওই ঘাট দিয়ে শুধু লঞ্চযোগে পারাপার হওয়া দূরপাল্লার পরিবহনের যাত্রীরা পারাপার হবে। সেক্ষেত্রে দক্ষিণাঞ্চলের দূরপাল্লার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পরিবহন কাঁঠালবাড়ী ঘাটের পরিবর্তে কাওড়াকান্দি ঘাটে অবস্থান করবে এবং যাত্রীদের একটি বড় অংশই কাওড়াকান্দি ঘাট হয়ে ঘরে ফিরতে পারবে। আর এতে করে কোনো ঘাট এলাকায় যানজট থাকবে না বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

"