পাবনা প্রতিনিধি
খালের পানিতে ভাসছে সেতু, স্থানীয়রা বলছে ‘তামাশা’
পাবনার বেড়ায় চাকলা ইউনিয়নের পাঁচুরিয়া গ্রামে খালের মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে একটি সেতু। সেতুর দুই পাশে কোনো সংযোগ সড়ক নেই। অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত সেতুটির নির্মাণ ব্যয় সাড়ে ৩২ লাখ টাকাই পানিতে পড়ে আছে। সংযোগ সড়ক না থাকায় সেটা কারো কাজেই আসছে না। এ কারণে স্থানীয়রা বলছে, এটা গ্রামের মানুষের সঙ্গে তামাশা।
এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও পিআইও কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ৩২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ব্যয়ে পাঁচুরিয়া গ্রামের প্রধান খালের মধ্যে একটি সেতুটি নির্মিত হয়। ২০১৬ সালের মে মাসে কোনোরকম সংযোগ সড়ক ছাড়াই সেতুটির নির্মাণের কাজ শেষ করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, যে খালের মধ্যে সেতুটি নির্মিত হয়েছে তার ওপারে রয়েছে পাঁচুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাঁচুরিয়া পূর্বপাড়া গ্রাম। শিক্ষার্থীসহ ওই গ্রামের লোকজনকে খাল ঘুরে যাতায়াত করতে হতো। এতে তাদের ৫০০ মিটারেরও বেশি রাস্তা ঘুরতে হয় আর সময়ও বেশি লাগত। সেতুটি নির্মিত হলে অতিরিক্ত রাস্তা না ঘুরে সোজা রাস্তায় খাল পার হওয়া সম্ভব। এ জন্য এলাকাবাসী খালের ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এমন জায়গায় সেতু নির্মিত হলো, যা এলাকাবাসীর কোনো উপকারেই আসছে না।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংযোগ সড়ক ছাড়াই সেতু নির্মাণের নকশা ও আর্থিক বরাদ্দ করা হয়। এতে সেতু নির্মিত হওয়ার পর দেড় বছরেরও বেশি সময় পার হলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ সংযোগ সড়কের জন্য পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখে সেতু নির্মাণ করা হলে সেটি ব্যবহারের উপযোগী হয়ে উঠতে পারত।
"