টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
মধুপুরে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা
টাঙ্গাইলের মধুপুরে আবারও ধর্ষণ শেষে হত্যার মতো কলঙ্কিত ঘটনা ঘটল। চলন্ত বাসে রুপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রেশ কাটতে না কাটতেই পঞ্চম শ্রেণির লিজা খাতুনকে (১১) ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করে আলামত মুছে ফেলার চেষ্টাও চালায় তারা। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের গাছাবাড়ি এলাকায়। জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে শিশু লিজা গোসল করতে যায় বাড়ির অদূরে একটি জলাভূমিতে। কয়েক ঘণ্টা পরেও সে না ফিরলে তার মা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কোথাও না পেয়ে আত্মীয়-স্বজন পাড়াপড়শিদের জানানো হয়। তারাও খুঁজতে থাকে। পরে রাতে তার নিথর দেহ খুঁজে পাওয়া যায় বাড়ির কাছের বাঁশঝাড়ে। শিশু লিজাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে তার বিকৃত দেহকে এখানেই ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। মুহূর্তেই মধুপুরের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে স্বজনদের আহাজারিতে। লিজাকে হারিয়ে বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন তার বাবা-মা। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন পাড়াপড়শি ও স্বজনরা। লিজার চাচা আবদুল মজিদ বলেন, ‘ছোট্ট লিজা ছিল সবার আদরের। সে গাছাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। পড়ালেখায় ছিল বেশ ভালো। সারাদিন তাকে খুঁজে না পেয়ে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে লিজাকে পার্শ্ববর্তী বাঁশঝাড়ে কলাপাতা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমন নির্দয়ভাবে যারা লিজাকে ধর্ষণ ও হত্যা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন মধুপুর গড় এলাকার বাসিন্দারা। মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ বলেন, সমাজে এ ধরনের অপরাধ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা দরকার।
"