নিজস্ব প্রতিবেদক
ফোরজির পরিকল্পনা টেলিটকের
ফোরজি প্রযুক্তি দৌড়ে পিছিয়ে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর টেলিটক ঢাকা ও চট্টগ্রামে ফোরজি সেবা চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। নতুন লোগো দিয়ে নতুনভাবে শুরুর ঘোষণা দিলেও প্রত?্যাশা পূরণে এখনো সফল হয়নি টেলিটক। দেশের অন্য অপারেটররা লাইসেন্স পাওয়ার পরপরই গত ফেব্রুয়ারি থেকে ফোরজি সেবা শুরু করেছে। লাইসেন্স নিয়ে রাখলেও এখনো এ সেবা শুরু করতে পারেনি টেলিটক। কবে নাগাদ টেলিটক গ্রাহকরা ফোরজি সেবা পাবেন, তাও নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী গোলাম কুদ্দুস জানিয়েছেন, তারা প্রস্তুতি শুরু করেছেন, পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। তবে গ্রাহকদের আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রথমে বিভাগীয় শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামে ফোরজি সেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তারপর সব বিভাগীয় শহরে তারা ফোরজি দিতে চান এ বছরের মধ্যেই। টেলিটকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অন্য অপারেটররা যেখানে হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে, টেলিটক সেখানে মাত্র ২০০ কোটি টাকায় নেটওয়ার্ক উন্নয়ন করে ফোরজিতে যাওয়ার চেষ্টায় আছে।
ফোরজি লাইসেন্স নিতে গত জানুয়ারিতে আবেদন করে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক ও বন্ধ হয়ে যাওয়া অপারেটর সিটিসেল। ফেব্রুয়ারিতে নিলামে অংশ নিয়ে ফোরজি তরঙ্গ কেনে কেবল গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক।
নিলামের পর গত ফেব্রুয়ারি দেশের চার মোবাইল অপারেটর চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি সেবা চালুর লাইসেন্স পায়। সিটিসেল আর সেই লাইসেন্স নেয়নি। লাইসেন্স পাওয়ার পরপরই গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক তাদের ফোরজি সেবা শুরু করে। রবি তাদের হাতে থাকা তরঙ্গ ‘প্রযুক্তি নিরপেক্ষতায়’ রূপান্তর করে এ সেবা দিচ্ছে। টেলিটকও একই পরিকল্পনা নিয়েছে। ফোরজি তরঙ্গের নিলাম এবং প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার সুবিধা বিক্রি করে ভ্যাটসহ পাঁচ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা আয় করেছে সরকার। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসাবে, দেশে মোট মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ১৫ কোটির বেশি। এর মধ্যে ছয় কোটি ৭৪ লাখের বেশি গ্রাহক রয়েছে গ্রামীণফোনের হাতে। এ ছাড়া রবির গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ৫৬ লাখ, বাংলালিংকের ৩ কোটি ৩৩ লাখ এবং টেলিটকের মাত্র ৩৯ লাখ।
"